• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কারে অবদান রাখলে মিলবে পুরস্কার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯  

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নির্দেশনার আলোকে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখায় যেসব শিক্ষার্থী বেশি অবদান রাখবে, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না করে প্রতি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থী ও অন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন এবং অভিভাবকদের আমন্ত্রণ জানানো যাবে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে-
# শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাকে বিদ্যালয়ে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। পরিচ্ছন্ন স্কুল ব্যাগ এবং টিফিন বক্স ও পানির পাত্র ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

# পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ক্লাস রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বিদ্যালয়ের দেয়ালে নীতিবাক্য ছাড়া অন্য দেয়াল লিখন বন্ধ করতে হবে।

# শ্রেণিকক্ষের সামনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ঢাকনাযুক্ত পাত্র রাখতে রেখে ওইসব পাত্রে ময়লা-অবর্জনা ফেলতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে।

# বিদ্যালয় ছুটির পর অবশ্যই ময়লা ফেলার পাত্রগুলো পরিষ্কার করে পরের দিনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে রাখতে হবে।

# শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের আগে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড ও হোয়াইটবোর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে।

# আবশ্যিকভাবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

# খেলার মাঠ যথাসম্ভব পরিচ্ছন্ন ও খেলাখুলার উপযোগী রাখতে হবে। খেলার মাঠে ময়লা ফেলার জন্য বড় আকারের পাত্র রেখে তা নিয়মিত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

# জায়গা থাকলে বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাসহ মৌসুমী ফুলের বাগান করতে হবে। বিদ্যালয়ের বাইরের সৌন্দর্য বাড়াতে ফুলের টব রাখা যেতে পারে।

গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান শিক্ষকদের আগামী ৩১ জানুয়ারি এই সাপ্তাহিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তা সারা বছর অব্যাহত রাখতে বলা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে যে শিক্ষার্থীদের অবদান বেশি তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পুরস্কৃত করতে হবে। এছাড়া উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় বাছাই করে পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে।

এতে আরো বলা হয়েছে, সম্ভব হলে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা ‘ওয়াশব্লক’ স্থাপন করে সেখানে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিদিন ওয়াশ ব্লকের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিদ্যালয় গড়তে বিদ্যালয়ের গালর্স গাইড, স্কাউট ও স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সদস্যদের দায়িত্ব দিতে হবে। এসব বিষয় নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে এক বা একাধিক তদারকি টিম গঠন করতে হবে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে এক বা একাধিক ক্লাস মনিটর মনোনয়ন দেওয়ার কথাও পরিপত্রে বলা হয়েছে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, এসব কার্যক্রম তাদরকিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদ এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে মনিটরিং টিম গঠন করে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন সংগ্রহ করতে হবে।

এ ছাড়াও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করার সময় পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না- তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করে পরিদর্শন প্রতিবেদনে লিপিবব্ধ করার কথা পরিপত্রে বলা হয়েছে।