• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ম্যাডিসন স্কয়ার যেন এক টুকরো বাংলাদেশ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২২  

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন; ইনডোর ঘরানার বিভিন্ন আয়োজনের ভেন্যু হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত নাম। এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া ইতিহাসে চোখ বুলালেও একটা লাইনে এসে চোখ পড়বে, যেখানে লেখা রয়েছে ১৯৭১ সালের ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর কথা। ঠিক ৫০ বছর পর সেই একই ভেন্যুতে আবার উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। এবার সহায়তার জন্য নয়, সেদিনের যে ‘নবজাতক’ দেশকে সহযোগিতার আহ্বান এসেছিল, এবার তার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে।

শুক্রবার (৬ মে) এই কনসার্টে গান পরিবেশন করে জার্মানির বিখ্যাত ব্যান্ড ‘স্করপিয়নস’। ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড চিরকুটও।

বাংলাদেশ-কনসার্ট-4

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এতে মঞ্চে উঠে কণ্ঠ মেলান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নুরুল ইসলাম, নাহিদ খান ও অপরাজিতা হক। এসময় তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান অসংখ্য বাংলাদেশি প্রবাসীসহ আগত দর্শনার্থীরা।

বাংলাদেশের সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এই প্রথমবারের মতো ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। এর উদ্যোক্তা আইসিটি মন্ত্রণালয়। কনসার্টের মূল প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘লেট দি মিউজিক সে’।

বাংলাদেশ-কনসার্ট-3

আয়োজনের বিষয়ে গত বুধবার (৪ মে) নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, এই কনসার্ট করার জন্য আমরা যখন প্রথম প্রস্তাবটি দেই তখন একটি ছোট কমিটি গঠন করা হয়।

এই কনসার্টের নামটি নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট করতে চেয়েছিলাম। ওই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের সব অর্জন বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি নিজেই নামকরণ করেন গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট।’

বাংলাদেশ-কনসার্ট

তিনি বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানটি ডিসেম্বরে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময়ে নিউ ইয়র্কে করোনা পরিস্থিতি খুব অবনতি হয়। পরে আমরা ১৯ মার্চে করতে চাই, কারণ ২৬ মার্চ ছিল সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী অনুষ্ঠান। কিন্তু তখনও করোনাসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ৬ মে এটি পুনর্নির্ধারিত হয়।