• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দুই হাজার বছরেরও প্রাচীন ‘কোম্বুচা’ যেসব রোগের মহৌষধ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২১  

সুস্থ থাকতে আমরা কত কি-না করি। ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক অনেক উপাদান রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে। এছাড়াও এমন একটি পানীয় রয়েছে, যা আমাদের অনেক কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। সেই জাদুকরী পানীয়টি হচ্ছে ‘কোম্বুচা’। 

‘দ্য টি অব ইমমর্টালিটি’ বা ‘চিরশাশ্বত পানীয়’ হিসেবে পরিচিত কোম্বুচা-র সঙ্গে জড়িয়ে আছে ২০০০ বছরেরও প্রাচীন ইতিহাস। চিনে কিন রাজবংশের শাসনে ২২১ খ্রিস্টপূর্বে প্রথম এই পানীয়ের কথা শোনা যায়। সম্ভবত একজন কোরীয় চিকিৎসকের হাত ধরে এই পানীয় এসেছিল জাপানে। 

জনশ্রুতি, সেই চিকিৎসকের নাম ছিল কোম্বু। অনেকে বলেন, তার নাম থেকেই পানীয়ের নামকরণ করা হয়েছে। আবার অনেকে বলেন, সামুদ্রিক উদ্ভিদ কেল্প-কে জাপানি ভাষায় বলা হয় ‘কোম্বু’, তার থেকেই নাকি ‘কোম্বুচা’ নাম এসেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পানীয় ঘিরে কাহিনি তৈরি হয়েছে এবং ভেঙেছে। তবে রহস্য কোনোদিন এর পিছু ছাড়েনি।

জীবনযাপন চর্চায় এখন ট্রেন্ডিং ‘কোম্বুচা’। নাম শুনলেও এর উপকরণ এবং তৈরির পদ্ধতি নিয়ে এখনো প্রচুর ধোঁয়াশা রয়েছে। এটা কি চা, সোডা নাকি ওয়াইন? এমন প্রশ্ন অনেকের। মূলত কোম্বুচা হলো ফার্মেন্টেড ড্রিঙ্ক। যা তৈরি হয় কালো বা সবুজ চায়ে চিনি এবং ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট মিশিয়ে। প্রোবায়োটিকস থাকার জন্য পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করে এই পানীয়। 

চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কোম্বুচা-র গুনাগুণ সম্পর্কে- 

** ইনফ্লেম্যাশন কমায়। 

** যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

** রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

** হতাশা ও বিষাদকে দূরে রাখে। 

** শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। 

** রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করে।

** বাড়তি মেদ এবং ওজন হ্রাস করে। 

** প্রতিরোধ করে ক্যান্সারের আশঙ্কা।

** কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে।

** কার্ডিওভাসক্যুলার স্বাস্থ্য মজবুত করে।