• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

গর্ভধারণের আগে যেসব প্রস্তুতি নিতে হবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২২  

সন্তানই একজন নারীর জীবন পূর্ণতা এনে দেয়। তবে জানেন কী? সন্তান নেয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি নেয়া খুবই জরুরি। তাতে মা ও শিশুর সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বিভাগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত। চলুন তবে জেনে নেয়া যায় গর্ভধারণের আগে যেসব প্রস্তুতি নিতে হবে সে সম্পর্কে-

সন্তান ধারণের আগে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন
সুস্থ সন্তান জন্মানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। খাবার থেকে আমরা এসব প্রয়োজনীয় উপাদান পেয়ে যাই। তবে সন্তান ধারণের সময় এই উপাদানগুলো অন্য সময়ের তুলনায় বেশি দরকার হয়। কারণ এর মধ্যে আছে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন ডি ইত্যাদি। তাই সন্তান ধারণের এক মাস আগে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এই উপাদানগুলো গ্রহণ করতে হবে।

মা হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে নিন
টিকা মা ও গর্ভে থাকা সন্তানকে বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। তাই সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা থাকলে প্রয়োজনীয় টিকা নিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে আছে হেপাটাইটিস বি টিকা, টিটেনাস টিকা, এমএমআর টিকা ইত্যাদি। কিছু টিকা আছে যেগুলো সন্তান ধারণের আগে নিতে হয়, কিছু টিকা সন্তান গর্ভে থাকতেও নেয়া যায়। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় টিকাগুলো নিয়ে নিন।

বাদ দিন ক্যাফেইনযুক্ত খাবার
গর্ভাবস্থায় মা অনেক বেশি ক্যাফেইন খেলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রার ক্যাফেইনের কারণে বাচ্চা কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। কম ওজনের কারণে বাচ্চার নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সন্তান ধারণের আগে ক্যাফেইনযুক্ত খাবার একেবারে বাদ দিন। ক্যাফেইনযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে আছে চা-কফি, কোমলপানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্কস, চকলেট ইত্যাদি।

ওজন স্বাভাবিক থাকা চাই
গর্ভধারণের আগে মায়ের স্বাভাবিক ওজন থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্তান নেয়ার পরিকল্পনা করলে দেখে নিতে হবে ওজন ঠিক আছে কিনা। দেহের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গর্ভবতী অবস্থায় অনেক রোগ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে আছে ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, প্রি-এক্লাম্পসিয়া ইত্যাদি। অন্যদিকে মায়ের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে বাচ্চার ওজন কম হতে পারে, বাচ্চা প্রিম্যাচিউর হতে পারে অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই প্রসব হতে পারে।

ব্যায়াম সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়
দিনের কিছুটা সময় ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিশেষ করে সন্তান ধারণের আগে ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি। এটা প্রেগন্যান্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি গর্ভকালীন বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে আছে প্রি-এক্লাম্পসিয়া, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।