• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মাংস খেয়ে হাড় মজবুত করছেন, হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩  

শরীরকে সুস্থ রাখতে ভালো খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নানান রোগ। এর মধ্যে হাড়ের সমস্যায় ভুগেন অনেকে। তাই মাংস খেয়ে হাড় মজবুত করার নিয়ম মেনে চলেন অনেকেই। কিন্তু কতটুকু খাবেন, কত ঘন ঘন খাবেন সেটাও জেনে রাখা জরুরি।

হাড়ের সুস্থতার জন্য প্রোটিনের ওপর চিকিৎসকরা জোর দেন। এমনকি হাড়ের গঠনের ক্ষেত্রে অ্যানিম্যাল প্রোটিন যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু শরীরে এ প্রোটিনের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া মোটেই উচিত নয়। মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ এবং কত ঘন ঘন খাওয়া উচিত, তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

চিকিৎসকদের মতে, মাংস হাইপ্রোটিন ডায়েটকে অনেক সময় ক্ষতি করে। এতে ক্যালসিয়াম, যা কিনা হাড়ের মূল উপাদান, সেটি নষ্ট হয়। বেশি মাংস খেলে, বিশেষ করে লাল মাংস খেলে আসলে হাড়ের ক্ষতি হয় বলে মত চিকিৎসকের।

শরীরে প্রোটিনের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে শুধুমাত্র মাংসের ওপর ভরসা করলে চলবে না, দুগ্ধজাত খাদ্য, মাছ, প্লান্ট বেসড মিটও খাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে প্রোটিনের সরবরাহেও ভারসাম্য রাখা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ফলমূল, শাক-সবজি, দানাশস্য খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

মাংসে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায়, তাতে ক্যালসিয়ামের নিঃসরণ ঘটে এবং হাড়ও ক্ষয় হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত অ্যানিম্যাল প্রোটিন খেলে রক্ত অম্ল হয়ে যায়। এতেও হাড় থেকে ক্যালসিয়ামের নিঃসরণ ঘটে।

তাই শরীরে প্রোটিনের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মাংসের পরিবর্তে শাক-সবজি, ফলমূল, দুগ্ধজাত খাদ্যের ওপর বেশি জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এতে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমে। এর পাশাপাশি টাইপ টু ডায়বিটিস, বিশেষ কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

আবার প্লান্ট বেসড খাবারই শুধু মেনুতে রাখলে শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রাখা জরুরি। তাই মাংস খাওয়া একেবারে না খাওয়ার কথা মোটেই বলছেন না চিকিৎসকরা। বরং যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু খাওয়ার কথা বলছেন।