• সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২২ ১৪৩০

  • || ১৫ জ্বিলকদ ১৪৪৪

শরীয়তপুর বার্তা

স্নায়ুর ক্ষতি আটকাবে যে পাঁচ খাবার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পা, কোমড়, ঘাড়ে ব্যথার কারণ হচ্ছে নার্ভ। তবে এই রোগের মুক্তি কিন্তু শুধু ওষুধে সম্ভব নয়। বরং ডায়েটে জোর দিতে হবে বলেই জানালেন পুষ্টিবিদ।
নার্ভের ক্ষতি আটকাতে হবে। স্নায়ু সুস্থ থাকলে বহু সমস্যার সমাধান করা যায়। তবে বর্তমানে বহু ব্যক্তি নার্ভের রোগে ভুগছেন। তাই তাদের ডায়েটে এমন কিছু খাবার যুক্ত করতে হবে যা স্নায়ুর জটিলতা দূর করতে সক্ষম।

স্নায়ু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমাদের মস্তিষ্ক থেকে নানা সংকেত দেহের সর্বত্র ছপৌঁছে যায় নার্ভের মাধ্যমে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও নানা সংকেত নিয়ে মাথায় পৌঁছে দেয় এই বাহিকা। এরা অনেকটা বিদ্যুতের তারের মতো কাজ করে যার মাধ্যমে সংকেত পৌঁছে যায়।

স্নায়ুর সমস্যায় আক্রান্ত অনেকে। এর পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একটা অংশের কথায় ডায়েট ঠিক না থাকায় স্নায়ুর পুষ্টিতে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে নানা অসুখ পিছু নিচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে কলকাতার ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রধান ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার জানালেন, এখন প্রচুর স্নায়ুর রোগী। হাসপাতালে রোজ হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন। মূলত নার্ভের ব্যথা, অসাড়তা রয়েছে রোগীদের। এনারা স্নায়ুর খেয়াল রাখতে চাইলে কয়েকটি খাবার অবশ্যই খেতে হবে।

বিদেশি সমুদ্রিক মাছ
মীনাক্ষী মজুমদারের কথায়, স্নায়ুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে ভিটামিন বি১২ দরকার। এই ভিটামিন সব খাদ্যে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে টুনা, সার্ডিন, স্যালমনের মতো বিদেশি সামুদ্রিক মাছে এই ভিটামিন বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়া এই মাছে আপনি পাবেন ওমেগা থ্রি। এই উপাদানটিও স্নায়ুর জন্য দারুণ উপকারী। তাই পয়সায় কুলালে আপনাকে এইসব বিদেশি মাছ ডায়েটে রাখতে হবে। না পারলে ভারতীয় ছোট মাছ খান। এতে কিছুটা হলেও এইসব উপাদান পাবেন।

মুরগির মাংস স্নায়ুর জন্য উপকারী
মুরগির মাংস এখন প্রায় সকলেই খান। তবে আজ থেকে ২ দশক আগেও এই খাবারটি বেশিরভাগ বাঙালি বাড়িতে আসত না। কিন্তু আজ প্রায় সর্বত্রই এই মাংস আপনি পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন, মুরগির মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি৬। ভিটামিন বি১২-কে শরীরে গ্রহণ করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন। তাই স্নায়ুর জন্য ভালো চিকেন। এই খাবারটিতে এছাড়াও রয়েছে প্রোটিনের প্রাচুর্য। ফলে পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাইলেও এই মাংশ খান।

বিনস, কড়াইশুঁটি
স্নায়ু সুস্থ রাখতে প্রয়োজন হয় ভিটামিন বি১। এই ভিটামিনটি দেহে ভিটামিন বি৬-গ্রহণে সাহায্য করে। ফলে স্নায়ু নিজের কাজ অনবরত করে যেতে পারে। এমনকী ব্যথা, অসাড়ভাব দূর হয়। বিনস, কড়াইশুঁটিতে এই ভিটামিন ভরে থাকে। তাই তো আপনাকে নিয়মিত এই দুই সবজি খেতে হবে। এছাড়া এতে পেয়ে যাবেন অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট যা নানাবিধ শারীরিক সমস্যা দূর করে। এমনকী স্নায়ুর প্রদাহ রুখে দেয়।

সোয়াবিন, পালং শাক
মনে রাখবেন, ভিটামিন বি২ সকলেরই প্রয়োজন। এই ভিটামিনটিও নার্ভের খেয়াল রাখে। এক্ষেত্রে সোয়াবিন, পালংশাকের মতো খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি২ পেয়ে যাবেন। এছাড়া এই খাবারগুলোতে রয়েছে প্রোটিন। এই প্রোটিন কিন্তু পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই তো নিয়মিত সোয়াবিন ও পালংশাক খাওয়া শুরু করে দিন। আশা করছি সুস্থ থাকবেন। নার্ভের যন্ত্রণা কমবে।

সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান স্নায়ুর কাজ করার জন্য প্রয়োজন। এছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা নার্ভের প্রদাহ কমায়। ফলে স্নায়ুর অসাড়ভাব অনায়াসে কাটে। তাই নিয়মিত মরশুমি তাজা শাক, সবজি খান। সুস্বাস্থ্য পাওয়া তবে সময়ের অপেক্ষা!