• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে চিনি জাতীয় খাবার খাওয়াবেন না যে কারণে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২  

বাবা মায়ের কাছে প্রতিটি সন্তানই আদরের। এজন্য প্রায়ই শিশুর পছন্দের খাবার কিনে দিতে আপনার যেন কোনো কার্পণ্য নেই। এতে আপনি আপনার শিশুর ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছেন না তো!

শিশুর গঠনমূলক বছর বলতে শিশুর জন্মের প্রথম দুই বছরকে বোঝানো হয়। এই সময় শিশুটি কী খাবে তার সবকিছুর খেয়াল রাখা উচিত বাবা মায়ের। কেননা এই সময়ে শিশুর খাদ্যে যদি চিনি থাকে তা শিশুর সঠিক বিকাশে বাধা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপনার শিশুর জন্মের পর প্রথম দুই বছরে তাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ানো বিশেষ করে যেসব আইটেমগুলোতে শর্করা যুক্ত থাকে তা শিশুর বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

জন্মের পর প্রথম চব্বিশ মাসে শিশুদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পুষ্টি ও ক্যালরির প্রয়োজন হয়। যদিও শর্করাযুক্ত খাবারগুলো ক্যালোরি সমৃদ্ধ তবে তা খেলে শিশুর পুষ্টির অভাব হবে। কারণ শিশুরা এই বছরগুলোতে সীমিত পরিমাণে খাবার খায় এবং তারা যে খাবার গ্রহণ করে তা তাদের শরীরের জন্য উপকারী তা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবারগুলো তাদের খাদ্য থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

গবেষণায় দেখা গেছে যেসব বাচ্চাদের প্রাথমিক বছরগুলোতে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয় তাদের অল্প বয়সে স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং দাঁতের ক্ষয় রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আরেকটি জোরালো যুক্তি হিসেবে গবেষকরা বলছেন মানুষের জীবনের প্রথম চব্বিশ মাসে খাওয়ানো খাবারগুলোই আমরা দীর্ঘমেয়াদে পছন্দ করি। কারণ হিসেবে মস্তিষ্ক গবেষকরা বলেছেন মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদী পছন্দগুলো সাধারণত আমাদের প্রাথমিক খাদ্যাভ্যাস দ্বারা আকৃতি ধারণ করে।

শিশু বয়সেই যদি বাবা মা খাবারে চিনির ব্যবহার করে তা হলে সে শিশু দীর্ঘমেয়াদেও অর্থাৎ বড় হয়ে এই অভ্যাস বাদ দিতে পারে না। অন্যদিকে জন্মের ২৪ মাস পর্যন্ত যদি শিশুকে শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর সবজির মতো তিক্ত খাবার গ্রহণ অভ্যাস করানো যায় তাহলে পরিণত বয়সেও সেই শিশু এই খাবারে অভ্যস্ত হয়ে থাকবে।

অল্প বয়সে চিনি খাওয়ার প্রবণতা শিশুর সৃজনশীলতাকে কমিয়ে দিতে পারে। এছাড়াও টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি শিশুদের বেড়ে যায় এই চিনি খাওয়ার ফলে।

রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড চাইল্ড হেলথের রিপোর্টে শিশুদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিবরণে এই সব তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষক ও চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন দুই বছর বয়সী একটি শিশু দিনে যেসব খাবার খাবে তার পাঁচ শতাংশের বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।

শিশুর খাবারের মধ্যে সুইটনার, সিরাপ এবং ফল বা উদ্ভিদের রসের মতো খাবারে শর্করা যোগ যাবে না।। দই, ফলের পানীয়, ডেজার্ট এবং মিষ্টি বেকারি পণ্যগুলি বিশেষ করে শিশুদের ডায়েট থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত বলেও মনে করছেন তারা।