• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

শিশু কাঁদলেই দিচ্ছেন প্লাস্টিকের খেলনা! বিপদ হচ্ছে না তো?

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রত্যেকটি শিশুই তার বাবা-মায়ের কাছে প্রিয়। তাই শিশুদের জেদ রক্ষাত্রে সবকিছু করতেই রাজি। আর বিশেষ করে শিশুদের খেলনার প্রতি ঝোঁক সব সময়েরই। তাই তাদের খুশি করতে বাবা-মা খোঁজেন নিত্য নতুন হরেক রকমের খেলনা। আর এই বিষয়েই সম্প্রতি একটি  গবেষণা দিচ্ছে নতুন তথ্য। কী সে তথ্য?

প্লাস্টিকের খেলনা শিশুর স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণ হতে পারে তেমনটাই দাবি গবেষণা। স্থূলতা, অ্যাজমার মতো বেশ কয়েকটি অসুস্থতার শিকার হতে পারে শিশু।

বাড়িতে ছোট শিশু আছে। অফিস থেকে ফেরার সময়ে একরত্তির জন্য নানা ধরনের প্লাস্টিকের খেলনা কিনে আনছেন। শিশুও সেই খেলনা দেখে আনন্দে আত্মহারা। সারাক্ষণ ওই খেলনাগুলো নিয়েই রয়েছে সে।

কিছুতেই খেতে চাইছে না, শিশুকে ভোলাতে তার হাতে ধরিয়ে দিলেন প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ি। খেলতে খেলতে সেই গাড়ি মুখে দিচ্ছে একরত্তি। বাড়িতে শিশু থাকলে এমন কয়েকটি ছবি প্রায়ই দেখা যায়। 

সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, প্লাস্টিকের এই খেলনা আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যের ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

আমেরিকার প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্লাস্টিকের খেলনা নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক মাত্রেই তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্লাস্টিকের খেলনায় গবেষকরা অ্যান্টিমনি, বেরিয়াম, ব্রোমিন, ক্যাডমিয়াম, সিসার, সেলেনিয়াম-সহ বিভিন্ন বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। যা শিশুর শরীরে দীর্ঘস্থায়ী কোনও ক্ষতির কারণ হতে পারে। খেলনা হাতে পাওয়া মাত্রে তা সকলের আগে মুখে দেয় শিশু। খেলনায় থাকা ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদানগুলি লালার মাধ্যমে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে।

আরও জানা গেছে, অধিকাংশ প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হয় ফ্যাথালেটস। প্লাস্টিক নরম করে তুলতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই রাসায়নিক অ্যাজমার কারণ হতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী কালে স্থূলতার সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। শুধু খেলনা নয়, প্লাস্টিকের ফিডিং বোতল ব্যবহারেও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। 

এছাড়াও এই প্লাস্টিকের খেলনা সামগ্রীতে টক্সিনের পরিমাণ প্রায় ৮৪ শতাংশ। এই বিপজ্জনক টক্সিন শিশুর বেড়ে ওঠা, বিকাশ এমনকি পরবর্তী কালে প্রজনন ক্ষমতাকেও ব্যহত করতে পারে।