• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ শিকারের দা‌য়ে ৭ জেলে আটক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২০  

শরীয়তপুর প্রতি‌নি‌ধিঃ ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ শিকারের চেষ্টাকালে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় ৭ জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৪ অ‌ক্টোবর) বি‌কে‌লে জা‌জিরা উপ‌জেলা চত্ত‌রে এ জ‌রিমানা করা হয়। একই সাথে ৩১টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। পাশাপা‌শি আড়াই লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

এছাড়াও পদ্মা নদীর তীর থেকে ৬টি অস্থায়ী খাবার হোটেল ও ২টি মাছের অস্থায়ী আড়ৎ অপসারণ করা হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিনেই শরীয়তপুরের প্রশাসনের কড়া নজরদারি রেখে চলেছেন ইলিশ নিধন ঠেকাতে। মা ইলিশ নিধন রোধে জাজিরার বিলাশপুরে পদ্ম নদীর তীরে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে রেপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র‌্যাব।

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে ১৪ অক্টোবর প্রথম প্রহর থেকে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন থাকবে ইলিশ প্রজনন মৌসুমের মেয়াদ। ২২ দিনই চলবে নদীতে প্রশাসনের অভিযান। মৌসুমের প্রথম দিনেই জেলার জাজিরা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জাজিরা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে মা ইলিশ শিকারের সময় পদ্মা নদী থেকে আব্দুল মতিন (৬০), আল আমিন (৩২) ও গহন আলী(৪২ কে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড করেছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান ভূঁইয়া। এ ছাড়াও ৪ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফী বিন কবীর। এদিকে নড়িয়া উপজেলায় অভিযানে ৫হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধারের খবর জানিয়েছে মৎস্য অফিস।

শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, জেলার পদ্মা নদীর জল সীমায় আগামী ২২ দিন সার্বক্ষণিকভাবে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান অব্যাহত রাখবে মৎস্য বিভাগ।