• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

নতুন ফেরিযোগ হওয়ায় স্বাভাবিক হয়েছে নরসিংহপুর ফেরিঘাটের পারাপার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ নতুন ফেরী যোগ হওয়ায়ার একদিনের ব্যবধানে খুলনা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরী ঘাটের যানজট কমে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। ১৭ জুলাই ভোলা-লক্ষ্মিপুর রুট থেকে বড় একটি ফেরি কলমিলতা শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটের ফেরী বহরে যোগ হওয়ায় যানজটের মাত্রা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত যে যানজট ছিল তা এখন নেই বললেই চলে।

আজ ১৮ জুলাই,সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে গরু বোঝাই ও লকডাউন শিথিল হওয়ায় যাত্রীবাহি গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এ ঘাট এলাকায় তিন কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ী গুলোর অধিকাংশই পার হয়ে গেছে। বাকী যা আছে পণ্যবাহী ট্রাক তাও আজকে ভিতরে পার হয়ে যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার আব্দুল মমিন জানান, যানবাহনের সংখ্যা কয়েক গুন বৃদ্ধি পেলেও ফেরী সংখা বৃদ্ধি না করায় গত দুইদিন কিছুটা সমস্যা থাকরেও আজ থেকে আর কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছেনা। যানজট নিরোশন কল্পে ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভোলা-লক্ষ্মিপুর রুট থেকে বড় একটি ফেরি কলমিলতা আজ নরসিংহপুর ফেরি বহরে যোগ করা হয়েছে। এতে করে যানবাহনের চাপ কমে এসেছে।

স্থানীয় চরসেন্সাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া বেপারী জানান, এ পথে প্রতিদিন চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে বরিশাল, খুলনা বিভাগসহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ টি জেলার শতশত পন্য ও যাত্রীবাহি যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুবোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম থেকে পূর্ব ও দক্ষিনের বিভিন্ন জেলায়  যাওয়ার জন্য এ ঘাটটি ব্যবহার করেন। সব কয়টি ফেরি স্বাভাবিক থাকলে প্রতিদিন ছোট বড় মিলে ৪২০ থেকে ৪৫০ টি গাড়ি পারাপার করতে পারে এখানকার ছয়টি ফেরি। আজ নতুন আর একটি ফেরি আসায় যানজট সমস্যা দুর হয়ে যাবে।

যশোর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী রাজিব হোসেন বলেন, নিজ এলাকা থেকে কয়েকজনের গরু নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছি বিক্রির জন্য। শুনে ছিলাম এ ঘাটে অনেক জ্যাম কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমরা কোন সমস্যায় পরিনি।

আরেক ব্যবসায়ী লোকমান আলী বলেন, সকাল বেলা ঘাটে এসে ২য় ফেরিতেই আমরা এখন পার হচ্ছি। আমার সামনে এখনো বেশ কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলেও গরুর গাড়িকে সুযোগ করে দিচ্ছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটের মেঘনা নদীর পারাপারে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ৬টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করতো। ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরু বোঝাই ট্রাক ও লকলাউনের কঠোর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের সাথে সাথে যাত্রীবাহি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এতে এই ঘাটে তিন দিন প্রায় তিন কিলোমিটার যানজট লেগেছিল। যানজট নিরোশন করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভোলা-লক্ষ্মিপুর রুট থেকে বড় একটি ফেরি কলমিলতা নরসিংহপুর ফেরি বহরে যোগ হয়েছে। এ ছাড়া জেলা উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগ ফেরি পাড়াপাড় স্বাভাবিক রাখতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।