• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

একটি রাস্তা দুঃখ ঘুচালো পূর্ব ডামুড্যার দাইমি চরভয়রা আশ্রয়ণবাসীর

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১  

 শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

যাতায়াতের সড়ক নির্মাণের ফলে দুঃখ ঘুচল পূর্বডামুড্যা ইউনিয়নের মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর পাওয়া আশ্রয়নবাসীর।

 এ আশ্রয়নে সব কিছু থাকলেও ছিলনা যাতায়াতের রাস্তা। যার কারনে বর্ষায় কোমড় পানি  মাড়িয়ে মুল সড়ক থেকে তাদের ঘরে যাতায়াত করতে হতো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম সবুজের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মাণ সম্পন্ন  করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ জুলাই) আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তা থেকেই বেশ কিছুটা দূরে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। সেই ঘরে যেতে হতো পানিতে ঢুবে যাওয়া চাষাবাদ জমির আল দিয়ে। রাস্তাটির নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় তাদের দুঃখের দিন শেষ হয়েছে।

এখন আশ্রয়নবাসিরা মূল সড়ক থেকে জুতো পরেই যার যার ঘরে যেতে পারবে।

ঘরের সামনে গিয়ে দেখা গেল প্রতিটি ঘরে লেগেছে বিদ্যুৎ সংযোগ। অনেক ঘরের সামনের খালির জমিতে চাষ করা হয়েছে  বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি। কেউ কেউ পালছেন হাস মুরগী। বাচ্চাদের কোলাহলে মুখরিত পুরো এলাকা। সব কটি ঘরেই বাসিন্দা রয়েছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাযায়,  যারা প্রথমে ঘর পেয়ে ও ঘরে উঠেনি  তাদের নাম বাতিল করে নতুন  আবেদন কারিদের  ঐ ঘরে উঠিয়ে  দেয়া হয়েছে।

ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের মঞ্জিল গ্রামের জহুরা বেগমের ঘর তোলার মতো জমি ছিল না। এখন সে প্রধানমন্ত্রী ঘর পেয়েছে।   রাস্তা ও  বিদ্যুৎ। 

কথা হয় আশ্রয়কেন্দ্রের ভূমিহীন দরিদ্র বিধবা কল্পনা বেগম(৫০)এর সাথে তিনি বলেন, এই ঘরটি আমি আগে পেয়েছি কিন্তু রাস্তা আর বিদ্যুৎ ছিল না। পুরো এলাকাই ছিল ভূতুরে পল্লী। আসার জন্য কোন রাস্তা ছিল না। এখান থেকে বের হতে গেলেই কষ্ট হত।  আজ রাস্তা ও বিদ্যুৎ পেয়েছি এতে ই আমি খুশি। এখন আর অন্য কোথাও যাব না এখানে ই থাকবো।

আশ্রয় প্রকল্পের উম্মে কুলসুম (৪০)বলেন, আমার একটা জম্মগত ভাবেই সমস্যা কোন কাজ করতে পারি না,আমি গরিব মানুষ এখানে গুচ্ছ গ্রাম হওয়ার প্রথম থেকেই অনেক ধার দেনা করে দোকান দিয়েছি আজকে ইউএনও স্যার প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও স্যার নিজে আমাকে নগদ অর্থ দিয়েছে,এখানে অনেক মানুষ আছে ভালো ভাবে থাকতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই দুঃসময়ে সাহায্য করায়।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির  সহকারি জেনারেল  (এজিএম) তৌফিকুর আলম বলেন, ‘ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর সবুজ এর সহযোগীতায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় নেওয়া হয়েছে। সুবিধাভোগীদের আনন্দঘন কোলাহল দেখে আমার নিজের কাছেই ভালো লাগছে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মোহাম্মাদ সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে সারাদেশের ন্যায় ডামুড্যার দাইমি চরভয়রা গ্রামে ২২ টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হাতে ইতোমধ্যে কবুলিয়ত, নামজারি খতিয়ান, গৃহ হস্তান্তরের সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীদের বিদ্যুৎ, রাস্তা ও নলকূপের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। কুরবানির ঈদে প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে ঈদের উপহার ও কুরবানীর মাংস দেওয়া হয়েছে।আজকে আমরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও প্রত্যেক পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করছি।