• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে ভেদরগঞ্জের ১৬ নারী পেল সেলাই মেশিন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে  বিভিন্ন কর্মসূচির মাঝদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

আজ রবিবার (৮ আগস্ট)। ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী" প্রতিপাদ্যের মাঝদিয়ে  দিবসটি এবার প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, দোয়া মোনাজাত ও সেলাই মেশিন বিতরণ।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহীদ আক্কাস - শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) শংকর চন্দ্র বৈদ্য,মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল মান্নান রাড়ী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তানবিন হাসান শুভ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  তানভীর আল নাসীফ বলেন, বাঙালীর শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু যখন বারবার পাকিস্তানি শাসকদের হাতে বন্দি জীবন-যাপন করছিলেন, তখন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কাছে ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা জানতে। তিনি তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন।

বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি নিয়ে কিছু কুচক্রী স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলো, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বেগম মুজিবের দৃঢ়চেতা অবস্থান বাংলার মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী, বাংলার মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু।বঙ্গবন্ধু তাকে এ নামেই ডাকতেন। 

সভা থেকে উপজেলার ১৬ নারীকে ১৬ টি সেলাই মেশিন ও নারীকে নগদ ২ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়।