• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরায় সার, বীজ ও সাইনবোর্ড বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

পাট বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ও ডাল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ২০২১-২২ অর্থ বছরে কৃষি পূর্নবাসন ও প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় উদ্যোগে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ এবং সাইনবোর্ড বিতরণ করা হয়েছে। 

২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভূইয়া। এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত বর্ননা দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন,  এ সময়  উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাজিরা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার,  উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ আতিকুর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার সরদার গোলাম মোস্তফা, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বীথি রানী বিশ্বাস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার  নাজিম উদ্দীন, বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার গন,কৃষক কৃষানী বৃন্দ উপস্থিত। 

জাজিরা উপজেলায় ৭০ জন কৃষক মাশকালাই প্রণোদনা এবং ৫০ জন কৃষক নাবী পাট বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী পাচ্ছেন। মাশকালাই প্রণোদনায় প্রতি জন কৃষক ১০ কেজি ডিএপি সার  ৫ কেজি এমওপি সার এবং ৫ কেজি বারি মাশ৩ জাতের বীজ পাচ্ছেন। অপর দিকে নাবী পাট বীজ উৎপাদন প্রদর্শনীতে প্রতি জন কৃষক ৫০০ গ্রাম করে বিএডিসি ১ জাতের বীজ, ১০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার,  সাইনবোর্ড পাচ্ছেন এবং আন্তঃ পরিচর্যা বাবদ ২৬৩০ টাকা এবং প্রশিক্ষণ পাবেন। 

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান ভূইয়া বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ফসলগুলোর মধ্যে পাট অন্যতম। পাট ও পাট জাত পণ্য রপ্তানী করে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ % বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পাট বর্তমানে শুধু বস্তা বা চটেই সীমাবদ্ধ নয় বরং পাটের বহুবিধ ব্যবহার তাকে সোনালী অতীতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পাটের ব্যবহার ম্যান্ডেটরী প্যাকেজিং এ্যাক্ট হওয়ায় বর্তমানে পাট ও পাট জাতীয় পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ ও রূপালী কাঠি তার সোনালী অতীত ফিরে পাবে এবং ডায়মন্ড ফাইবারে পরিণত হবে বলে আশাবাদী গবেষকরা এবং সেই লক্ষ্যেই নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ডঃ আব্দুর রাজ্জাক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকারের আমলে পাট শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বাস্তবতায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাট চাষের উন্নয়ন ও পাট আঁশের বহুমুখী ব্যবহার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তসহ পাট চাষের সাথে সম্পৃক্ত সকলের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

শুধুমাত্র ভাল মানের বীজ ব্যবহার করে শতকরা প্রায় ২৫-৩০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি করা যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর পাট মৌসুমে প্রায় ৫-৬ হাজার মেট্রিক টন পাট বীজের প্রয়োজন হয় যার মধ্যে ১২-১৫% বীজ বিএডিসি সরবরাহ করে এবং বাকী বীজ স্থানীয় বাজার ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানী করা হয়। তাই কৃষকরা যাতে নিজের বীজ নিজেই উৎপাদন করতে পারেন সেজন্য উন্নতমানের পাট বীজ উৎপাদনের কলাকৌশল সম্পর্কে তাদের জানা দরকার।