• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

‘সরকার দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে কৃষিকে সমৃদ্ধ করেছে’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ খন্দকার আব্দুল ওয়াহেদ বলেছেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি ও গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

দেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪.১০% এবং দেশের জনশক্তির ৪১ ভাগ কৃষি কাজে নিয়োজিত। তাই এদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষির উন্নয়ন অপরিহার্য। জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিয় উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব বিবেচনা করে কৃষির উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কৃষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সম্মনিত কৃষি মন্ত্রী মহোদয় দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে কৃষিকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি ৪ নভেম্বর ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ ও দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাজের সফলতার জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহীদ আক্কাস-শহীদ মহিউদ্দিন  মিলনায়তনে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলামের সভাপতিত্বে সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক শস্য কৃষিবিদ ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান, অতিরিক্ত পরিচালক, ফরিদপুর অঞ্চল কৃষিবিদ মনোজিত কুমার মল্লিক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস সাত্তার।

পরিচালক বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হচ্ছে। কৃষির এই বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কৃষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। গবেষণা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাউন্সিল নার্সভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমূহের গবেষণা পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন এবং কৃষি গবেষণার মান উন্নয়নসহ বিজ্ঞানীদের গবেষণা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছে। 

তিনি আরো বলেন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট (এনএটিপি) ফেজ-১ ও ২ ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট (এনএটিপি) ফেজ-১ এর মাধ্যমে ১০৮টি গবেষণা উপ-প্রকল্প নার্সভুক্ত ১২টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ৪২টি হস্তান্তরযোগ্য প্রযুক্তি (শস্য-২২টি, প্রাণিসম্পদ-৫টি, মৎস্য-৩টি, তথ্য প্রযুক্তি ও অন্যান্য-১২টি) উদ্ভাবন করা হয়েছে। 

পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতকরণে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পরিবর্তিত কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে নিমোক্ত বিষয়সমূহে গুরুত্বারোপ করতে হবে। 

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট খরা, বন্যা, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা, তাপমাত্রা এবং রোগ ও পোকা প্রতিরোধী ফসলের উচ্চফলনশীল ও পুষ্টিমান সম্পন্ন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে সরকার।