• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে সেই ছাত্রদল নেতার বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে উপজেলায় প্রেম করে বিয়ের পর ছাত্রদল নেতার অস্বীকার। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে বিষের বোতল নিয়ে অনশন করেছেন এক নারী (২৭)। ভেদরগঞ্জ উপজেলা রামভদ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কার্তিকপুর গ্রামে ছাত্রদলের নেতা ইমরান খানের (৩১) বাড়িতে গিয়ে আজ শনিবার (০৬ নভেম্বর) বেলা ১১ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অনশন করছেন ওই নারী ।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শিপল সিকদার, ছাত্রদল নেতা ইমরানের মামা মতিন সরদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা সমাধানের আশ্বাস দিলে ওই নারী অনশন তুলে নেন।

অভিযুক্ত ইমরান উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কার্তিকপুর গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক। 

ওই নারী বলেন, ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রদল নেতা ইমরানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে বন্ধুত্ব, এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের ১৫ মে স্থানীয় কাজি অফিসে গিয়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন। ওই নারী বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানালেও ইমরান তার পরিবারকে জানাননি। বিয়ের পর ইমরানের সঙ্গে ওই নারীর গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে।

এভাবে এক বছর হয়ে গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ায় চাপ প্রয়োগ করেন ওই নারী। ইমরান বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওই নারীকে অস্বীকার করেন ইমরান।

ওই নারীর ভাষ্য, ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী কাজির মাধ্যমে গোপনে ইমরান আমাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পর তার ভাইকে ইতালি পাঠাবে বলে আমার কাছ থেকে দুই ধাপে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। তার কথায় এক বছর বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখি। আমি স্ত্রী হিসেবে তার বাড়িতে থাকতে চাওয়ার পর থেকে সে আমাকে অস্বীকার করছে। বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইমরানের এলাকার নেতাদের বিষয়টি জানালে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আমি অনশনে বসি।

এবিষয়ে ইমরানের মামা মতিন সরদার ,ইউপি সদস্য শিপল সিকদার জানান, ইমরান ও ওই মেয়েটি  আমাদের না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেছে। বিষয়টি যেহেতু জানলাম উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। 

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান বলেন, আমি তাকে বিয়ে করেছি ঠিক আছে। তার সঙ্গে আমার সংসার করা সম্ভব নয়।

এবিষয় ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য আমাকে মোবাইলে ফোন করেছিল। ওই নারীর অনশনের বিষয়টি আমি শুনেছি। ওই নারী লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।