• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরায় নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ 

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্প এবং রাজস্ব কর্মসূচির ভূট্টা প্রদর্শনীর উপকরন বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকলা ১০ টায় জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে থেকে উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বীথি রানী বিশ্বাস,  এইও, আব্দুল কুদ্দুস শিকদার,  এসএপিপিও, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, এসএএও,  এম সাইফুল হক,  এস এএও,জাকির হোসেন, মোঃ মাহবুবর রহমান, পলাশ বিশ্বাস ,এস এম রাহান সঞ্জিব,  মোঃ খাইরুজ্জামান শুভ, সহ  কৃষক কৃষানী বৃন্দ।

জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন বলেন,বর্তমান সরকারের শাসনামলে কৃষিতে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। কৃষি বিষয়ক নানা ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’’ প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে।দেশে এখন বিভিন্ন প্রকার ফসলের উৎপাদন হচ্ছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এসব ফসলে নতুন নতুন পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাবও ঘটছে। এ থেকে রেহাই পেতে ফসলে ইচ্ছামতো রাসায়নিক বালাইনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। এসব রাসায়নিক বালাইনাশক প্রয়োগের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, পাখি, অনুজীব ইত্যাদি বিলুপ্ত হচ্ছে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন উপকারী পোকা মাকড়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, অপরদিকে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে এবং ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়ছে। তাই এবার পরিবেশবান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ‘‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দেশের ৮টি বিভাগের ৬১টি জেলার ৩১৭টি উপজেলায় এ প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।

১৭২ কোটি ১৩ লাখ টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে এ বরাদ্দ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে।

তিনি জানায়, কৃষি ক্ষেতে বালাই ব্যবস্থাপনায় শুধু বালাইনাশকের ওপর নির্ভরশীলতা যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি পরিবেশের জন্য দূষণীয় এবং জনস্বার্থের জন্য হুমকি। বাণিজ্যিক কৃষকরা ফল ও সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক মৌসুমে ঘন ঘন অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে বালাইনাশক ব্যবহার করেন। বর্তমানে দেশে খাদ্য সংরক্ষণ, ফল পাকানো ইত্যাদি কাজে ফরমালিন, কার্বাইড, ইথিলিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য অতিমাত্রায় মেশানো হচ্ছে। এ কারণে পরিবেশবান্ধব উপায়ে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম খরচে বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনসহ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কৃষকদের সক্ষম করে তোলা এবং কৃষকদের আর্থিক অবস্থার টেকসই উন্নয়ন ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের মাধ্যমে জনস্বার্থের উন্নতি সাধন করার লক্ষ্যে ‘‘পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন’’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, নিরাপদ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকের কারিগরি দক্ষতা এবং নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক সচেতনা বাড়বে, যাতে কৃষক-শ্রমিক ও ভোক্তার শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রদর্শনী স্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণিত আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটবে। প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমে মহিলাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে নিরাপদ ও গুণগতমান সম্পন্ন ফসল উৎপাদনে সচেতনতা বাড়বে। একই সঙ্গে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।