• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরায় বিনাধান-২২ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত 

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের  কৃষি উন্নয়ন ফসল বিন্যাসের লক্ষে অধিক ফলনশীল স্বল্প কালীন রোপা আমনের জাত সম্প্রসারণ করতে ২০২১-২২ অর্থ বছরে এনএটিপি২ প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ক্লাস্টার প্রদর্শনী বিনাধান-২২ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাজিরা ইউনিয়নের ঘোশাল সিকদার কান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ গোলাম রাসূল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন। শরীয়তপুর জেলা কৃষি প্রকৌশলী  মোঃ মোক্তার হোসেন,  জাজিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব মাস্টার রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্তিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি অফিসার  শাহিনুর আক্তার পপি, অজয় পুন্ডরী। মাঠ দিবসে প্রর্দশনী স্টলসহ শতাধিক কৃষক কৃষানী অংশগ্রহণ করেন।নাধান-২১।  প্রধান অতিথি  জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা  গোলাম রাশুল বলেন,চলতি আমন মৌসুমে আবাদকৃত উচ্চফলনশীল বিনাধান-২২ বপনের ৯৫ দিন পর কর্তনের নতুন রেকর্ড করেছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ টন। কম সময়ে কম খরচে অধিক ফলন হওয়ায় বিনাধান-২২ চাষিদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগামীতে  শরীয়তপুর  অঞ্চলে আমন ধানের আবাদ বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

 তিনি আরো বলেন, এর পূর্বে আমন ধানের আবাদ হতো। একর প্রতি ১০-১২ মণ ধান উৎপন্ন হতো। স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করে চাষিরা উৎপাদন খরচই তুলতে পারতেন না।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) ২২ ধান   উদ্ভাবন করে। প্রদর্শনী প্লট হিসাবে বিনাধান-২২ বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। বপনের ৯৫ দিনের মধ্যে তিনি কর্তন করতে পেরেছেন। জাত টি নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা পরিলক্ষিত হয়।।