• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

সেই অদম্য রুপার পরিবারের পাশে জেলা প্রশাসক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক গ্রামের অদম্য রুপা রানী দের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) পারভেজ হাসান। আজ (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের নির্দশে নড়িয়া উপজেলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন রুপার পরিবারকে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসহয়তা দিয়ে আসেন। পাশাপাশি ওই পরিবারকে ঘর ও জমি দেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের অংশ হিসেবে গৃহহীন-ভূমিহীনরা পাচ্ছেন ঘর ও জমি। তারই অংশ হিসেবে শরীয়তপুরের অদম্য রুপা'র পরিবারকে একটি ঘর  দেয়া হবে। এছাড়া আজ রুপার পরিবারকে শীতবস্ত্র ও খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে। রুপার পরিবারের পাশে আমরা আছি, থাকবো।

রুপা রানী দে বলেন, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবারের পাশে কেউ ছিল না। আমার পরিবারের কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করে। পরে জেলা প্রশাসক স্যার আমার পরিবারে পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে সম্মাননাও দিয়েছেন। যা পাওয়া সত্যিই আনন্দের এবং সম্মানের। এতে আমার পড়ালেখা ও আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগাবে। শীতে ও খাবারে কষ্ট করছিলাম। জেলা প্রশাসক স্যার তা দেখে আজ আবার শীতবস্ত্র ও খাদয়সহায়তা দিয়েছেন। ঘর ও জমি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্যারে। এই ঋন শোধ করার মতো নয়।

প্রসঙ্গত, ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান রুপা রানী দে। এরপর তাদের তিন বোনের দায়িত্ব পড়ে চাচা-ফুফুর ওপর। তাতেও ঘটে বিপত্তি। এক সময় সংসারে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন চাচাও অক্ষম হয়ে যান। সেই থেকে এক হাতে বই অন্য হাতে সংসারের হাল ধরেন ‘অদম্য’ রুপা।

উপজেলার ডিঙ্গামানিক গ্রামের মৃত পরেশ চন্দ্র দে ও মৃত ঝর্ণা রানী দের মেয়ে রুপা রানী দে। নড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিনি। অভাব-অনটনের মধ্যেও তিনি এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে পাস হয়।