• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

দ্রুত এগিয়ে চলছে ধানকাটি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫০ ঘরের নির্মাণ কাজ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ডামুড্যা উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫০টি ঘরের নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এখানে আশ্রয়ণ প্রত্যাশিরা বসবাস শুরু করতে পারবেন বলে মনে করছেন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যাক্তিগণ।

৫ জানুয়ারী বুধবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো: পারভেজ হাসান। এসময় ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিয়ান আহমেদ, ডামুড্যা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ উপকার ভোগীদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
 জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, ধানকাটি ইউনিয়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চলমান কর্মযজ্ঞ ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের উপকারকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত উদ্যোগের এক অনন্য সাধারণ দৃষ্টান্ত। 

চরমালগাঁও দীঘি সংলগ্ন এই প্রকল্পটি একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। জেলা প্রশাসক মোঃ পারভেজ হাসান বলেন, এখনো চলমান নির্মাণকাজ অবলোকন করতে প্রতিদিন বিকালে অসংখ্য মানুষের আনাগোনা হয় এ এলাকায়।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিয়ান আহমেদ বলেন,১৬ নং চরমালগাঁও মৌজার চরমালগাঁও দীঘি সংলগ্ন ১.২৭ একর জমিতে চলমান গৃহনির্মাণ কাজের পাশাপাশি পৃথক ৯৩০ ফিট দীর্ঘ ও গড়ে ১৪ ফিট প্রশস্ত ইটের সংযোগ সড়ক এবং মূল সড়কের সাথে সংযোগের জন্য ৭৬ ফিট দীর্ঘ ও ৮ ফিট ৪ ইঞ্চি প্রশস্ত কাঠের পোল নির্মাণ করা হয়েছে। যা মালামাল পরিবহনকালে একাধিকবার সংস্কার করা হয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন নির্মাণকাজ বজায় রাখার জন্য আমাদের তদারকি অব্যাহত আছে। প্রতিটি পরিবারের গৃহ নির্মানের জন্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা করে ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ ছারাও উপজেলা প্রশাসনের থেকে মাটি ভরাট ও অন্যান ব্যায় নির্বাহ করা হবে।

প্রকল্পের তদারককারী কর্মকর্তা ও ডামুড্যা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নিমিত্ত নির্মাণাধীন ঘরে শৌচাগারে ব্যবহারের জন্য  রিং স্ল্যাব প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্থানেই প্রস্তুত করা সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পস্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত হয়েছে এবং ৫টি নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় একটি মসজিদ ও শিশুদের খেলাধুলার জন্য ক্ষুদ্রপরিসরে একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হবে গৃহনির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে। নির্মাণাধীন ৫০টি ঘর উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কবুলিয়ত সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীরা গৃহনির্মাণ কাজ নিজেরাই দেখছেন এবং মালামাল তদারকি করছেন।