• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে চাষীদের মাঝে চেক বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
ভেদরগঞ্জ উপজেলার উন্নত জাতের নাবী পাট বীজ সংরক্ষণকারী ৫০ চাষীর মাঝে জমি তৈরী ও আন্তঃপরিচর্চ্চার জন্য প্রণোদনার ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহীদ আক্কাস-শহীদ মহিউদ্দিন মিলনায়তন থেকে চেক বিতরণ করেন  কমিটির সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর-আল-নাসীফ। 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে উদ্যোগে ২০২১-২২ অর্থবছরে খরিপ ২০২১-২২ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল নাবী পাট বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে পূর্বে বিনামূল্যে বীজ, সার, বালাই নাশক, সাইনবোর্ডের পরে। জমি তৈরী ও আন্তঃপরিচর্চার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে চেক বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আকতার হোসেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার কায়সার আহমেদ রানা, মামুনুর রশিদ হাসিব, মনিরুল ইসলাম মিলন, জাহিদুল ইসলাম সরকার।

তিনি জানান, এবছর উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য নাবী পাট বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার মোট ৫০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার চেক বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে জমি তৈরীর জন্য ৮শত ও আন্তঃপরিচর্যা জন্য ১ হাজার ৫শত টাকা সহ প্রতি কৃষকের হাতে ২ হাজার ৩শত টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ফসলগুলোর মধ্যে পাট অন্যতম। পাট ও পাট জাত পণ্য রপ্তানী করে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ % বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পাট বর্তমানে শুধু বস্তা বা চটেই সীমাবদ্ধ নয় বরং পাটের বহুবিধ ব্যবহার তাকে সোনালী অতীতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পাটের ব্যবহার ম্যান্ডেটরী প্যাকেজিং এ্যাক্ট হওয়ায় বর্তমানে পাট ও পাট জাতীয় পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ ও রূপালী কাঠি তার সোনালী অতীত ফিরে পাবে এবং ডায়মন্ড ফাইবারে পরিণত হবে বলে আশাবাদী গবেষকরা এবং সেই লক্ষ্যেই নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ডঃ আব্দুর রাজ্জাক মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় বর্তমান কৃষকবান্ধব সরকারের আমলে পাট শিল্পে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে
জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক বাস্তবতায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাট চাষের উন্নয়ন ও পাট আঁশের বহুমুখী ব্যবহার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তসহ পাট চাষের সাথে সম্পৃক্ত সকলের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর পাট মৌসুমে প্রায় ৫-৬ হাজার মেট্রিক টন পাট বীজের প্রয়োজন হয় যার মধ্যে ১২-১৫% বীজ বিএডিসি সরবরাহ করে এবং বাকী বীজ স্থানীয় বাজার ও পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানী করা হয়। তাই কৃষকরা যাতে নিজের বীজ নিজেই উৎপাদন করতে পারেন সেজন্য উন্নতমানের পাট বীজ উৎপাদনের কলাকৌশল সম্পর্কে তাদের জানা দরকার।