• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত মানের ফসল উৎপাদনে প্রকল্প হাতে নিয়েছি: যুগ্মসচিব

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি ঃ

কৃষি, পানিসম্পদ, পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম প্রধান ও  যুগ্মসচিব মোঃ জালাল আহমেদ বলেছেন, ‘গ্রামীণ, নিম্ন আয়ের মানুষজন কন্দাল জাতীয় ফসল বেশি ফলায় যা খায় বা ব্যবহার করে। আমাদের সরকারের সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছে জনগণ। যার মধ্যে নিম্ন আয়ের ও গ্রামীণ জনগন। বাংলাদেশে আলু আমরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করি। তবে অনেক কন্দাল জাতীয় ফসল আছে, যেগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় না। সেগুলোকে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করতে ও উন্নয়ন করতে আমরা কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বর্ণনা করে তিনি বলছে, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পুষ্টিমান উন্নয়ন করা। প্রকল্প এলাকায় কন্দাল ফসলের আবাদ বাড়ানো, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত আলু, মিষ্টিআলু, গুলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা ও গাছ আলুর প্রমাণিত জাতগুলো সম্প্রসারণ করা। এছাড়াও সুবিধাবঞ্চিত ও সিডর-আক্রান্ত এলাকায় প্রশিক্ষণ, উদ্বুদ্ধকরণ, প্রদর্শনী কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা। উন্নত জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিদেশে কন্দাল ফসল রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা।
 

দেশের কৃষিতে আলু, মিষ্টি আলু, ওলকচু, মুখীকচু, পানিকচু, লতিকচু, কাসাভা ও গাছ আলুসহ অন্যান্য কন্দাল ফসল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ধান ও গমের পরই তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আলু। আলু ও মিষ্টি আলুর ফলন কম হওয়ার প্রধান কারণ হলো মানসম্মত বীজের অপ্রতুলতা ও কোনো কোনো বছর দুষ্প্রাপত্যতা, স্থানীয় জাত ও নিম্ন মানের বীজ ব্যবহার, ছত্রাক ও ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণজনিত মহামারি এবং সর্বোপরি বীজের উচ্চ মূল্য। এ অবস্থায় আলুর উৎপাদন বাড়ানো ও হিমাগার স্থাপন খুবই জরুরি।
তিনি ২৯ জানুয়ারী শনিবার  জাজিরা উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান গম ও পাট বীজ উৎপাদন প্রকল্পের প্রদর্শনী সহ প্রকল্পের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন কালে এ সব কথা বলেন।
 

কৃষি মন্ত্রণালয় ও আইএমইডি প্রতিনিধি গন শনিবার সকাল ১০ টায় প্রকল্প এলাকা ও প্রর্দশনী প্লট সরেজমিন  পরিদর্শন করার জন্য আসেন।   আইএমইডি ( কৃষি, পানিসম্পদ, পল্লী প্রতিষ্ঠান) বিভাগের  যুগ্ম প্রধান ( যুগ্মসচিব)  মোঃ জালাল আহমেদ এর নেতৃত্বে পরিদর্শন কালে উপস্থিত  ছিলেন ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত)  কৃষিবিদ ড. মোঃ হযরত আলী , কৃষি মন্ত্রণালয়ের  উপসচিব  সুজয় চৌধুরী , ধান গম পাট প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান, শরীয়তপুর  জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ গোলাম রাসূল , কৃষি অর্থনীতিবিদ কৃষিবিদ রেহেনা হক, প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জহিরুল হক , মনিটরিং এন্ড ইভাল্যুয়েশন অফিসার কৃষিবিদ মাসুমা জান্নাত, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার গন সহ অন্যান্য কৃষক কৃষানী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শণীয় টিম প্রকল্পের গম এবং লতিরাজ কচু  প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং বিলাশপুর ইউনিয়নের মেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামে বীজ উৎপাদন কারী কৃষক দলের সাথে এক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা প্রদান করেন জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন।
এম হারুন অর রশীদ