• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

গোসাইরহাটের চরাঞ্চল হবে কৃষির নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ 
বর্তমান সরকার শরীয়তপুরের  গোসাইরহাট উপজেলার চরাঞ্চলের পতিত জমিতে অর্থনৈতিক জোন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের চরজালালপুর মৌজায় ৭৮৬ একর জমিতে হবে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ উপলক্ষে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শুক্রবার চরজালালপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি প্রতিনিধি দল।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করতে ১২ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের যুগ্ন সচিব  মোঃ. মনিরুজ্জামান ও উপ-সচিব  মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরির্দশনে গোসাইরহাটে আসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মোঃ আলমগীর হোসাইন. শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ( রাজস্ব ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোসাইরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্ত।

গোসাইরহাট উপজেলা নিবৃাহি অপিসার মোঃ াালমগীর হোসাইন জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়নে জন্য শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানী পন্য উৎপাদনবৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে পশ্চাদপদ ও অনগ্রসর  এ এলাকাসহ সম্ভাবনাময় এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে বেজা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৬ সালে শরীয়তপুর  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে  গোসাইরহাটের চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক  জোন করার প্রস্তাব  দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন জটিলতার কারণে এ কাজটি স্থগিত থাকার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যা দেমরত্ন শেখ হাসিনা এর আন্তরিক ইচ্ছায় ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসন এবং বে-গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের (শাহজাদা মিঞা) প্রচেষ্টায় পুনরায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। 

এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শন করতে আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের যুগ্ন সচিব মোঃ. মনিরুজ্জামান ও উপ-সচিব মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল  গোসাইরহাটে আসেন। চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক  জোন করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চরজালালপুর এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) একটি প্রতিনিধি দল। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠিত হলে পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতির চেহারা।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব ও ভূমি অধিগ্রহন শাখা) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, জেলা প্রশাসন এবং শামসুর রহমানের (শাহজাদা মিঞা) প্রচেষ্টায় মাননীয প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক ইচ্ছায়  গোসাইরহাটের পদ্মা মেঘনা নদীর মোহনায় চরের পতিত জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলটি তৈরী করতে যাচ্ছে সরকার। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি এখানে গড়ে উঠলে কৃষি মৎস্য,দুধ্য  চামড়াশিল্প, ফুড পসেসিং এবং টুরিস্ট পার্ক তৈরী হবে।ফলে অদূর ভবিষ্যতে এখানকার অর্থনীতির চেহারায় আমূল পরির্বতন আসবে।

বেজার যুগ্ন সচিব মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা স্থানটি পরির্দশন করলাম। আমাদের প্রতিবেদনে আমরা এখানকার সম্ভবনা ও সমস্যার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোজরে নিয়ে আসরো আমরা বিশ্বা এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়তে সরকার সম্মত হবে।