• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নড়িয়ায় ৪১টি নৌকা ভাসিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

মহান স্বাধীনতা দিবসে বিশেষভাবে উদযাপন করতে নড়িয়ায় 'জয় বাংলা এভিনিউ' উদ্বোধন উপলক্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়ার ৪১ জন জেলে তাঁদের নৌকা বর্ণিল সাজে সাজিয়েছেন। তাঁরা সেই নৌকা পদ্মায় ভাসিয়ে যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে।

শনিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলেরা তাঁদের নৌকা নিয়ে নড়িয়ার মুলফৎগঞ্জ ঘাটে আসেন। ৪১টি নৌকা নড়িয়া নদী রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে নোঙর করে রাখা হয়। বিভিন্ন রঙের বেলুন, জাতীয় পতাকা, আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে নৌকাগুলো সাজানো হয়। শরীয়তপুর–২ আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এভাবে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেন। ওই ৪১ জেলে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাঁদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

নড়িয়ার নওপাড়া ইউনিয়নের বাদল মুন্সী কান্দি  গ্রামের রতন ব্যাপারী বসতভিটাসহ ২৪০ শতাংশ জমি পদ্মায় বিলীন হয়েছে পাঁচ বছর আগে। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব রতন মাছ শিকারের কাজ শুরু করেন। আজ তিনি আনন্দে নৌকা সাজিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

নড়িয়ার ঘড়িসার ইউনিয়নের হালিসার গ্রামের  বাসিন্দা আবু তাহের আকন ও কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দুলারচর গ্রামের বাসিন্দা জাহানুল্লাহ প্রামানিক বসতভিটা পদ্মা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে চার বছর আগে। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব আবু তাহের ও জাহানুল্লাহ মাছ শিকারের কাজ শুরু করেন। তিনিও তাঁদের ভাইকে নিয়ে নৌকা সাজিয়ে আসছেন অনুষ্ঠানে।  

জাহানুল্লাহ, রতন ও আবু তাহের বলেন, আমাদের মতো হাজারো মানুষ পদ্মার ভাঙনে নিঃস্ব। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নড়িয়ায় ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারনে নদীভাঙন থেমেছে। তাইতো স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'জয় বাংলা এভিনিউ' উদ্বোধন উপলক্ষে আমরা ৪১টি নৌকা বর্ণিল সাজে সাজিয়ে এনেছি। দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘজীবী হন।

ঘড়িসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন মুন্সী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর কারনেই ভাঙন রোধে বাঁধ হয়েছে। বাঁধকে সৌন্দর্য ও নান্দনিক করতে জয় বাংলা এভিনিউ, সোডিয়াম বাতি ও ঝাউগাছ লাগানো হয়েছে। আজ জয় বাংলা এভিনিউর উদ্বোধন। তাই অনুষ্ঠনটি সৌন্দর্য করতে নৌকা পদ্মায় ভাসিয়ে যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে। 

নড়িয়ার কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান বলেন, আমরা দুর্গম চরের মানুষ। চারদিকে নদী আমাদের উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করেছিল। সেই উন্নয়নবঞ্চিত চরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মার তলদেশ দিয়ে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ। নদী ভাঙন রোধে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁধ। এসব উন্নয়নকাজের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তাই তো সাধারণ মানুষ বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে স্বাধীনতা দিবসে জয় বাংলা এভিনিউর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক শামীম বলেন, আমি নিজেও নদীভাঙন এলাকার মানুষ। নদীভাঙনের শিকার মানুষের কষ্টটা আমি বুঝি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র প্রত্যক্ষ নজরদারি ও সার্বিক সহযোগিতায় কারণেই দীর্ঘ ৫০ বছরের ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আমি নড়িয়া-সখিপুর তথা শরীয়তপুরবাসীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। 

শামীম বলেন, শুধু আমার নির্বাচনী এলাকাই নয়, শরীয়তপুর জেলাসহ সারা দেশেই নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নদীর বুকে যেন আর কোনো ঘরবাড়ি বিলীন না হয়, আমরা সে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন মুলফৎগঞ্জ পদ্মা নদীর পাড়ে মহান স্বাধীনতা দিবসে নড়িয়ার বেড়িবাঁধের পাশে সুরেশ্বর থেকে মোক্তারেরচর পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে 'জয় বাংলা অ্যাভিনিউ' করা হয়েছে।