• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে শেষ হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জেলেদের জাটকা আহরণ নিরুৎসাহিত করতে ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।  
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন কালে উপজেলা মৎস্য বিভাগ মোট ৭টি অভিযান পরিচালনা করে,এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে ৪টি। জাটকা আটক হয়েছে ১শ কেজি, মামলা হয়েছে ২২ টি, জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা। জব্দকরা ৩০ হাজার মিটার নিশিদ্ধ কারেন্ট জাল  আগুনে জ্বালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

সপ্তাহের সমাপনি উপলক্ষে ৬ এপ্রিল দুপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় এ সকল তথ্য জানান উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম।উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলাম,প্রানীসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন।

এসময় জেলে আড়ৎদার,ব্যবসায়ীগন উপস্থিত ছিলেন। সভায় আরো জানানো হয়,জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে অবৈধ জাল ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক ও জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে। জাটকা ধরে করব না শেষ, বাঁচবে জেলে হাসবে দেশ, এই স্লোগানকে সামনে রেখে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হয়। দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। 

উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মানুষকে সচেতন করতেই এ সপ্তাহ। এ লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের খাদ্যে আমিষের শতকরা ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ।উপকূলীয় এলাকাসহ ইলিশ সমৃদ্ধ নদী অববাহিকার পাঁচ লক্ষাধিক মৎস্যজীবীর জীবন-জীবিকা ইলিশের ওপর নির্ভরশীল। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন ২৩৮,৬৭৩টি পরিবার এবং মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন ৩৫৬,৭২৩টি পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা হিসেবে দেয় সরকার।

সমাপনি সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। আবহমানকাল থেকেই ইলিশ বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তার মানদন্ডেও  একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবস্থান।জাতীয় মাছ ইলিশ আজ ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ নামে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। অনাদিকাল থেকেই আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি, অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও আমিষের চাহিদা পূরণে এ মাছ অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে।