• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে ২৭২০ আউশ চাষীর মাঝে সরকারি প্রণোদনার সার বীজ বিতরণ 

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
বৃষ্টি ও জলাবধ্যতা সহনীয় আউশ আবাদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় আউশ আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১  থেকে ২২ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার ৭২০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আউশ বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আল নাসীফ। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাত। উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মোঃ আবুল বাশার চোকদার,সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাফিউল মাজলুবিন রহমান।

এ সময় ২০২১ থেকে ২২ অর্থ বছরে উপজেলার প্রণোদনা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতি নিয়ে কর্মসূচির ব্রিফিং করেন  ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম। প্রণোদনা কর্মসূচিতে প্রতিজন কৃষক ৫ কেজি উপশী জাতের আউশ ধান বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি করে এমওপি সার পাচ্ছেন যাতে করে এক বিঘা জমিতে আউশ আবাদ করতে পারেন। প্রণোদনা কর্মসূচির বিতরণ উপলক্ষে বক্তারা  কৃষি বান্ধব সরকারের কৃষি উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচির ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের প্রশংসা করে কৃষক কে অধিক পরিমাণে ফলনে আন্তরিক ভাবে কাজ করার আহবান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আর নাসীফ বলেন,কৃষি এ দেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমানে দেশে জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ অর্জিত হয় কৃষি খাত থেকে। তার চেয়েও বড় কথা কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস।

দেশে ফসল কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার আরও যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল হয়েছে। ‘খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পের মাধ্যমে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ২৫% কম মূল্যে ৩৫টি জেলায় ৩৮ হাজার ৩২৪টি বিভিন্ন প্রকার কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। তাছাড়া বিএআরআই এবং বিআরআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি মোট মূল্যের ৬০% পর্যন্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের নিকট সরবরাহ করে যাচ্ছে।