• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

সরকারি সহায়তায় ভেদরগঞ্জে গমের বাম্পার ফলন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ 
অনুকূল আবহাওয়া, সরকারে বিভিন্ন সহায়তা ও উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় করোনার এ সময়ে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। বর্তমানে চলছে গম সংগ্রহের উৎসব। 

কৃষকরা আবারো গমের আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। ধান চাষে বার বার লোকসান হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা বর্তমানে এই লাভজনক আবাদের দিকে নজর দিয়েছেন। বর্তমানে উৎপাদন ও গমের বাজার ভালো থাকায় এবার ভাল লাভের আশা করছেন চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি রবি মৌসুমে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার উপজেলার ১ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সরকারি বীজ সার ও প্রণোদনা প্রদানের ফলে ২ হাজার ২৩ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। চলতি বছরে বারি গম-২৮, ২৯, ৩২ ও ৩৩ জাতের অধিক ফলনশীল গমের চাষ করা হয়েছে।

বর্তমানে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় মাঠে গমের সোনালী পাকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। আর অধিকাংশ জমির গম কর্তন করে মাড়াই করছে কৃষক। কোনো কোনো জমিতে এখনো কিছু গমের শীষ কাঁচা রয়েছে। আগামী ১০ দিন মধ্যে জমি থেকে চাষিরা সকল ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন চাষীরা।

রোগবালাইয়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস। লাভজনক এই গম চাষে চাষিদের আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে তালিকাভূক্ত চাষিদের মাঝে উন্নত জাতের গমবীজ, সার, বালাইনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে উপজেলা কৃষি অফিস।

ডিএম খালির গমচাষি আনন্দ ঢালী, চরচান্দার মনসুর মোল্যা, সখিপুরের ইদ্রিস মন্ডলসহ অনেকেই বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। গমের বাজার ভালো থাকলে তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।

 উপসহকারি কৃষি অফিসার মামুনুর রশিদ হাসিব বলেন,গম চাষে তেমন পানি, সার, কীটনাশক, বালাইনাশক ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না বলে খরচ অনেক কম। আর কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও গমে পোকা-মাড়কের আক্রমনও তেমন একটা হয় না। গমের শীষ নেওয়ার পর গমের গাছ জ্বালানি ও বেড়া হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এসব বিবেচনায় রাখলে নিশ্চিত করে বলা যায় গম চাষ একটি অধিক লাভজনক আবাদ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ এ পর্যন্ত গমে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন হয়নি। এছাড়াও গম চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি গম চাষের পর কৃষকরা ওই জমিতে ভালো ভাবে আউশ ধান কিংবা অন্য ফসল আবাদ করতে পারবেন। চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি প্রায় ১৬ মন হারে ফলন পাওয়া  যাচ্ছে।