• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

তাঁতপল্লীর অসংখ্য কর্মীর ভাগ্য বদলাবে পদ্মা সেতু

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২২  

পদ্মা সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে নাওডোবায় ও মাদারীপুর জেলাকে যুক্ত করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করতে গড়ে উঠছে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী। সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীতে দিনরাত চলছে কর্মযজ্ঞ। মাটি ভরাট, সীমানাপ্রাচীর নির্মাণসহ চলছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণকাজ।

অধিগ্রহণকৃত এলাকাজুড়ে চলছে তাঁতপল্লী নির্মাণের লক্ষ্যে দিনরাত অবিরাম মাটি ভরাটের কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাইল তৈরি ও পাইল গেড়ে টেকসইভাবে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ। কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি শ্রমিকরা। তাঁতপল্লীতে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

আলমগীর হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, পদ্মাপার প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তবে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই এই এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। এখানে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় তাঁতপল্লী। তাঁতপল্লী নির্মাণ শেষ হলে সব সময় আমাদের এ এলাকাটি জমজমাট থাকবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এখানকার হাজার হাজার মানুষের।

শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার বিদ্যুৎ বিভাগ আলাদা হলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীতে এক হয়ে কাজ করছেন। তাঁতপল্লীতে ৩০ কেভি ক্ষমতা সম্পূর্ণ সাবস্টেশন থাকলেও সিবচর সাবস্টেশন থেকে টানা হচ্ছে আরও একটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। সবসময় শরীয়তপুর থেকে শরীয়তপুরের অংশ ও মাদারীপুর থেকে মাদারীপুরের অংশে পল্লী বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সঞ্চালন করবে। যদি কোনো অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো কারণবশত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় তখন অন্য অংশ থেকে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। অর্থাৎ শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীতে জুড়ে সার্বক্ষণিক থাকছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যাতে উৎপাদনে কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়।

মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজি এমসি মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম জানান, শেখ হাসিনা তাঁতপল্লীটি শরীয়তপুর ও মাদারীপুর দুটি জেলার মোট ১১৯ দশমিক ৭৩ একর জমিতে পদ্মা সেতুর নিকটবর্তী স্থানে গড়ে তুলছেন সরকার। এখানে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাঁতিদের প্রতিষ্ঠিত করে তাঁতপণ্য উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করে দেশের অর্থনৈতিক  অবস্থার উন্নয়ন করার পরিকল্পনা থেকে তাঁতপল্লীটি গড়ে তুলছেন সরকার। এ পল্লীকে ঘিরে দেশের লাখো মানুষের কর্মসংস্থান হবে তাই খুশি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।