• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে বিনামূল্য গরু- ছাগল ও উপকরণ বিতরণ

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে জেলেদের মাঝে গরু,ছাগলসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। 

সরকারের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আওতায় গরু এবং দেশী প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ছাগল ও উপকরণ বিতরণ করা হয়। 

শনিবার সকাল সার ১০ টায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। ভেদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার  মোঃ আক্তার হোসেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজকারী মোঃ জাকির হোসেন খান।

সরকারের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আওতায় উপজেলার ২০ জনকে একটি করে গাভী। এবং দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ৬ জন দরিদ্র জেলেকে ২ টি করে ছাগল ও বিভিন্ন উপকরণ প্রদার করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমদের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পদ্মা- মেঘনা  অববাহিকায় ২০ কিলোমিটার নদী। উপজেলা ১৯ হাজার নিবন্ধনকৃত জাটকা জেলে রয়েছে।সরকার ইলিশ সম্পদ রক্ষা এ উন্নয়নে জেলেদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছে। এছারা

দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানান কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক  হারিয়ে যাচ্ছে। বিরুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ  রক্ষায় ও সরকার উদ্যোগ গ্হন করেছে। তারই অংশ হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে মৎস্য বিভাগ।

সেই প্রকল্প থেকে সকারের অর্থায়নে জেলেদের পুর্নবাসনে এ সহায়তা দেয়া হলো। তিনি ারো বলেন,কৃষি উৎপাদন ঠিক রেখে মৎস্য বিভাগ প্রকল্প এলাকায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৪৭ জন সুফলভোগীর দক্ষতা উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।

মৎস্যজীবী ও জেলেদের নিয়ে সুফলভোগীদের মোট ৬ হাজার গ্রুপ গঠন করা হবে। ৩০হাজার সুফলভোগীদের মাঝে খাঁচা, পেন, রিকশা, ভ্যান, ছাগল,  ভেড়া, হাঁস, মুরগি, ক্ষুদ্র ব্যবসা, দোকান কিংবা অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। জাল বিনিময় কার্যক্রমের আওতায় ১৬শটি ১৬০টি জাল বিতরণ করা হবে। 

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নড়াইল জেলাসহ গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের প্রাথমিক মেয়াদকাল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।