• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ভেদরগঞ্জে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে সরকারের  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রদত্ত মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক।

২৫ জুলাই সোমবার সকাল থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এর সাথে ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল হকসহ একটি টিম। তারা প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জয়নুল হক সিকদার প্রতিষ্ঠিত উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের মধুপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পালিত হরিণের খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও কৃমি দমনের উপর পরামর্শ প্রদান করেন। এর পরে তারা উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের লাকার্তায় শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ্ব ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার এর খামারের অসুস্থ ভেড়ার চিকিৎসা প্রদান। সেই সাথে তার গরুর খামার পরিদর্শন করে বিভিন্ন পরামশ্য প্রদান করা হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভা.) ডাঃ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, “শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার” এই স্লোগানকে ধারণ করে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরী প্রাণী চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্যে দেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করলো।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে মোট ৩৬০টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে আমরা আমাদের উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক পেয়েছি। 

মানুষ অসুস্থ হলে যেমন এ্যাম্বুলেন্স লাগে, তেমনি পশুপাখির জন্য এই ভ্রাম্যমান প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিকের ব্যবস্থা করা হলো। মানুষকে সহজে বহন করে নেয়া যায়, কিন্তু অসুস্থ এবং বৃহৎ আকারের গবাদিপশু বহন করে হাসপাতালে নেয়া দুরুহ কাজ। তাই এই ভ্রাম্যমান প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিকে করে ডাক্তার ও চিকিৎসা যাবে রুগী তথা অসুস্থ প্রাণীর কাছে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, তৃষ্ণার্ত নয়, নদীই যাবে তৃষ্ণার্তের কাছে।
তিনি বলেন, মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা ভ্রাম্যমান প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিক প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো দ্রুততম সময়ে খামারীদের দোরগোড়ায় জরুরি প্রাণিচিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়া। ক্লিনিকগুলো দেখতে অনেকটা সাধারণ জিপ গাড়ি বা ডাবল ক্যাবিন পিকআপের মতো। এর দু’টি অংশ রয়েছে। গাড়ির সামনের অংশ চিকিৎসক ও তার সহকারির বসার জন্য এবং পেছনের অংশ অত্যাবশ্যক চিকিৎসা সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি বহন করার জন্য।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটা কেন্দ্রীয় টোল ফ্রি হটলাইন নাম্বার আছে, ১৬৩৫৮। এখানে ফোন করে জরুরি সেবা চাইলে তা তৎক্ষণাত সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে একটি করে ডেডিকেটেড কর্পোরেট মোবাইল ফোন নাম্বার দেয়া আছে। সেখানে ফোন করেও জরুরি সেবা পাওয়া যাবে।

তিনি আরো বলেন, ভ্রাম্যমান প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিকগুলো জরুরি চিকিৎসা সেবা দেবার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের টিকা ও ওষুধ প্রদানের কাজেও ব্যবহৃত হবে। প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন ভ্যালু চেইনের খামারিদের নিয়ে গঠিত প্রোডিউসার গ্রুপের সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালনা, তাদের সভায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি কাজেও ভ্রাম্যমান প্রাণিচিকিৎসা ক্লিনিকগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।