• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মা ইলিশ রক্ষায় ইউএনও`র ব্যাতিক্রম উদ্যোগ `রাতে বাউলগানের আসর`

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি :মা ইলিশ রক্ষায় জাজিরায় ব্যাতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলেরা যেন নদীতে জাল না ফেলে তাই সচেতন করতে পদ্মা নদী বেষ্টিত ও আসেপাশের ইউনিয়নগুলোতে রাতে জেলে ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বাউলগানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোগটি নিয়েছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান সোহেল।

উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সফিকাজির মোড়সহ বিভিন্ন যায়গায় এ বাউলগানের আসর বসানো হয়। বাউলগানের কিছু ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে এ উদ্যোগ ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাতেও বাবুরচর এলাকায় বাউলগানের আয়োজন করা হয়েছে।

এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম দেয়। এ কারণে গত ৭ অক্টোবর  থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চালাচ্ছে সরকার। অভিযান চলাকালীন সময় ইলিশ শিকার, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কিছু জেলে নদীতে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে। জেলেদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করলেও বন্ধ হচ্ছে না মাছ ধরা। তাই এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ বাউলগানের মাধ্যমে জেলেদের সচেতন করা হয়েছে, যেত তারা নদীতে মাছ ধরতে না নামে।  

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, আমরা সারা দিনরাত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান চালাচ্ছি। জেলেদের আটক করে জেল-জরিমানা করছি। এছাড়া প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে। তবুও কিছু অসাধু জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছে ধরতে চেষ্টা করছে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় ব্যাতিক্রম উদ্যোগ রাতে জেলেদের নিয়ে বাউলগানের আসরের আয়োজন করা হয়েছে। জেলেরা যেন নদীতে জাল ফেলে মাছ না ধরে, তাও বলা হচ্ছে ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রনব কুমার কর্মকার জানান, আমরা মা ইলিশ সংরক্ষণে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। গত ৭ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ২৯টি মোবাইল কোর্ট ও ৭৫টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ১৪২ জন জেলে আটক করা হয়েছে। তাদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১৮২টি মামলা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইলিশ জব্দ করা হয়েছে এক হাজার ৩৫ কেজি। ৩৩ লাখ ৩৬৯ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪কোটি ৬লাখ ৩হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, জেলায় ২৫ হাজার ৫৮ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। তারমধ্যে ১৯ হাজার জেলেকে ৪৭৫ মেট্রিকটন চাল দেয়া হচ্ছে। প্রতি জেলে ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছে।