• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ডামুড্যায় ব্রিধান-৮৭ জাতের মাঠ দিবস উপলক্ষে মতবিনিময়

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ ডামুড্যা উপজেলার বড়সিধুলকুড়ায় ধানকাটা উৎসব উপলক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে মাঠ দিবস ও  কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার  (২৬ নভেম্বর) ডামুড্যা উপজেলা পরিষদ হল রুমে সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে অস্ট্রেলিয়া সরকারের অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) এবং কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কাসপা, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত প্রকল্পের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউম্যান প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার এবং অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের আড এসোসিএট প্রফেসর ডঃ মোঃ এনামুল হক, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক  ড. জিবন কৃষ্ণ বিশ্বাস,কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. মোঃ আক্কাস আলী,বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সিটিউটের (মৃত্তিক) ড.আমিনুল ইসলাম, শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মতলুবর রহমান। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডামুড্যা উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ আজিজুর রহমান,কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোতালেব হোসাইন, নিউম্যান প্রকল্পের কারিগরি কর্মকর্তা আরিফ উজ-জামান,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় এফ এ সাইদুর রহমান। অঅলোচনা সভা শেষে উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নে বড় শিধলকূড়া গ্রামে ধানকাটা উৎসবে যোগদেন অতিথিবৃন্দ।

আয়োজক  প্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের সাথে কথাবলে জানা গেছে ,

 কোন জমিতে ফসল ভেদে কতটুকু সার ব্যবহার করতে হবে, তা অনেক কৃষকই জানেন না। অনেক কৃষকই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন। এতে নষ্ট হচ্ছে মাটির স্বাস্থ্য। কমছে ফলন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জন্য নিউম্যান প্রকল্পের অধীনে সরকারি- বেসরকারি ১২টি প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে পরিমিত সারের পরিমাণ বের করেছে। তাদের পরামর্শে পরিমিত সার ব্যবহার করে ডামুড্যা উপজেলার কৃষকেরা সুফল পেয়েছেন। চাষাবাদে চাষিদের খরচ কমেছে, বেড়েছে ফলন এবং সুরক্ষিত থাকছে জমির উর্বরা শক্তি। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি পরীক্ষা করে বিভিন্ন ফসলের জন্য পরিমিত সারের পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

আমন মৌসুমে ধান গবেষণা ইন্সিটিউটের সহায়তায় নিউম্যান প্রকল্পের অধীনে ডামুড্যা উপজেলায় ১৮০ জন কৃষকের মধ্যে ব্রিধান-৮৭ জাতের বীজ ৫ কেজি করে প্রদান করা হয়। ঐ ১৮০ জন কৃষকই এফ.আর.জি. কার্ড মোতাবেক সার ব্যবহার করে ব্রিধান-৮৭ জাতের আমন ধানের আবাদ করে। এফ.আর.জি. কার্ড এর কার্যকারিতা এবং ব্রিধান-৮৭ জাতের উপযুগিতা স্বচক্ষে দেখা এবং কৃষকদের সাথে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে  তারা ডামুড্যায় আগমন করে।