• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ভেদরগঞ্জের ৪৩ পরিবার

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩  

সারাদেশের ন্যায় চতুর্থ ধাপে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জমি ও ঘর পেলেন ৪৩ পরিবার।
বুধবার (২২ মার্চ)  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক  উদ্বোধনের পর পরই ভেদরগঞ্জ উপজেলার নতুন অডিটোরিয়াম  থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সুবিধাভোগিদের মাঝে জমির দলিল ও ঘরের চাবী হস্তান্তর করা হয়।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে হস্তান্তর  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন  অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মেহাম্মদ তালুত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যন আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান বেপারী  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান রাড়ী, মহিষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃঅরুন হাওলাদার, ছয়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন মোল্যা, সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কামরুজ্জামান  মানিক ডিএমখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী,ব্যবসায়ীনেতা আলহাজ্ব গনি তালুকদার, ভেদরগঞ্জ প্রেসক্লাবে  সম্পাদক  শহিদুজ্জান বাচ্চু।অনিষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাস্টার সালাহউদ্দিন।
উপকার ভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাফেজ আলী হাওলাদার ও রত্না বেগম।

প্রধান অতিথি  অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ তালুত বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার গরিব দুঃখী নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। এ লক্ষ্যে তিনি অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্মীপুর) চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের গৃহ নির্মাণের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁরই নির্দেশে শুরু হয় গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ১৯৯৭ সালের ২০ মে কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষের দুর্দশা দেখতে গিয়ে কক্সবাজার পরিদর্শন করেন এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে শুরু হয় আশ্রয়ণ প্রকল্প। মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায়ও মুজিব শতবর্ষে তালিকাধীন ৭৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৬২৫ টি ঘরের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং তা উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ে সর্বমোট ১২৫ টির মধ্যে ৮০টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে যার মধ্যে মহিশার ইউনিয়নের ২৩ নং মহিষার মৌজায় ১০টি, রামভদ্রপুর ইউনিয়নের সিংজালা মৌজায় ০৬ টি এবং সখিপুর ইউনিয়নের ৯০ নং চর সখিপুর মৌজায় ১২ টি, চরসেনসাস ইউনিয়নের চর তারাবুনিয়া মৌজায় ১৫ টি সহ মোট ৪৩ টি ঘর আজ প্রধানমন্ত্রী  আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই আমরা  হস্থান্তর করলাম।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন বলে    ন, চতুর্থ পর্যায়ের বাকী ৮২টি ঘর নির্মাণের জন্য খাস জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। মুজিববর্ষের ঘরের  গুণগত মান বজায় রাখার লক্ষ্যে চিহ্নিত ভূমি উন্নয়ন ও মাটি ভরাট পূর্বক বাকী ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। আমরা যাদের ঘর দিচ্ছি সাথে সাথে তাদের জীবন মানোন্নয়নের জন্যমুদি, চাযের দোকান, গবাদি পশু  পালন,মাছ ও সবজি চাষের বন্দোবস্ত করেছি।