• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

জাজিরা উপজেলা চত্বর যেন সমন্বিত পুষ্টি বাগান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৩  

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জাজিরা উপজেলার যে কোন অফিস চত্বরে এলেই আপনার মনে হবে আপনি যেন শাক সবজি বাগানে আছেন। এটা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর  আহবানে সারা দিয়ে উপজেলা কৃষি বিভাগে সহযোগিতায়  ফসলে সমারোহ তৈরী করেছে উপজেলা পর্যায়ে ১৭ টি বিভাগ।

 উপজেলায় প্রবেশ করলেই চোখে পরবে কর্ম ব্যস্ততা পূর্ণ অফিস পাড়ায় এ যেন এক সবুজের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে ডাটা,  গিমাকলমি, ঢেড়স, পুইশাক,  লাল শাক,  ওলকচু, সহ নানা জাতের সবজি সেই সাথে মাচায় মাচায় আছে শশা, মিষ্টি ককুমড়ো,  করলা  সহ অন্যান্য লতানো গাছগুলো।  যা দেখে যে কোন মানুষের চোখ আটকে যায়, মন ভরে প্রশান্তিতে। জাজিরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের  ইফনাপ প্রকল্পের সহায়তায় উপজেলা  প্রশাসন ও  উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত "সমন্বিত পুষ্টি বাগান" প্রকল্পের প্লট গুলোতে এমনই  দৃশ্যের দেখা মিলছে  ।  এখানে  উপজেলা পরিষদ ন্যস্ত ১৭ টি বিভাগ ছাড়াও পৌরসভা,  হিসাব রক্ষণ,  নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়  সহ মোট ২২ টি প্লট যার প্রতিটি এখন শাক সবজি তে পরিপূর্ণ।  ফুল আসতে অপেক্ষায় আছে ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়োর।

বাগান  পরিচর্চায়রত উপজেলা কৃষি অফিসের গাড়ির চালক এসকেন শেখ বলেন" অফিসের ডিউটি শেষে খুব ভোরে অথবা বিকাল বেলায় এই জায়গায় সময় দেই পানি দেই চারা গুলো তে খুব ভাল লাগে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মতর মিনারুল ইসলাম বলেন " অফিসের কাজ শেষে এই বাগানে চলে আসি,  চারা গুলোর পরিচর্চা করি  খুব ভাল লাগে এবং আমরা নিজেরাই এ বাগারে শাক সবজি ভোগ করবো। তাছাড়া    অফিসে আসা  মানুষ জন দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখে  তারাও চাষে আগ্রহী হচ্ছে"।

সমন্বিত পুষ্টি বাগান স্থাপন বিষয় জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জামাল হোসেন বলেন"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন সেটিকে  বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই আমরা পারিবারিক পতিত জমিতে পুষ্টি বাগান স্থাপনের  পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক পতিত জমিতে এই ধরনের পুষ্টি বাগান স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করে করে যাচ্ছি । যাতে করে বিভিন্ন কারনে পতিত থাকা জমি গুলো ব্যবহার হয়ে উৎপাদনে চলে আসে ।

 জাজিরা উপজেলায় পতিত জমি ব্যবহার নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহেল বলেন " মাননীয় প্রধানমন্ত্রী র ঘোষণা এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় পতিত জলাবদ্ধতা ও রাস্তার পাশে পতিত জমি চাষের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার জন্যে কৃষি বিভাগ কে সাথে নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই জাজিরার চরাঞ্চলে চাষাবাদ শুরু করেছি এবং স্কুল কলেজ ও প্রাতিষ্ঠানিক পতিত জমি চাষের জন্যে উদ্বুদ্ধকররণের  পাশাপাশি  বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করে যাচ্ছি ফলে দেশের সার্বিক পরিবর্তন আসবে"।  উল্লেখ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের তৎপরতায় কৃষক পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের মাধ্যমে  সঠিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নে কৃষক সমাবেশ, উঠান বৈঠক সহ নানামুখী  পদক্ষেপের কারণে উপজেলার প্রায়্ ২০৭০ বিঘা পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে।। যেখানে থেকে পতি মৌসুমে প্রায় নতুন করে বাড়তি ১২ কোটি টাকার শস্য  উৎপাদন হচ্ছে।