• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

লকডাউন বানচালের পরিকল্পনায় জামায়াত-শিবির

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১  

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন বানচালের পরিকল্পনা নিয়েছে জামায়াত-শিবির। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে এ পরিকল্পনা নিয়ে এরই মধ্যে তাদের একটি অংশ মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম নগরীতে ‘গোপন বৈঠক’ থেকে ১৯ জনকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ তাদের এই পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছে।

পুলিশ জানায়, কয়েকবছর ধরে পর্দার আড়ালে থাকার পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে জামায়াত-শিবির প্রকাশ্যে আসার পরিকল্পনা করছিল। লকডাউনে আর্থিক সংকটে পড়া গরিব-নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তার নামে তাদের উসকানি দিয়ে এবং মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ করে দেওয়ার গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা ছিল জামায়াত-শিবিরের। এ নিয়ে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে প্রস্তুতি বৈঠকের এক পর্যায়ে নগরীর চান্দগাঁওয়ে গ্রেফতার হন ১৯ নেতাকর্মী।

গত সোমবার রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া বানিয়ারপুল মাজার গেইটে একটি ভবনের তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক বই ও দলিল এবং চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোখলেছুর রহমান বলেন, চলমান লকডাউন বিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে জামায়াত-শিবিরের একদল নেতাকর্মী গোপন বৈঠক করছে এমন তথ্য পেয়ে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে আমরা ১৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। তবে আরো ১০-১২ জন পালিয়ে গেছে। গ্রেফতার নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছি যে, লকডাউন বানচালের একটা কর্মসূচি তারা সাংগঠনিকভাবে নিয়েছিল। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে নাশকতা সংঘটনের উদ্দেশে তারা বৈঠকে বসেছিল।

গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে বাসায় বসে গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল সেটি স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. ইসহাকের। তাকে এবং তার ছেলে জামায়াত নেতা মো. ইসকান্দরকে ওই বৈঠক থেকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় মসজিদের ইমামের বাসা হওয়ায় কেউ সন্দেহ করবে না, এমন চিন্তাভাবনা থেকে সেখানে বৈঠক করা হচ্ছিল।