• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

থাইল্যান্ডের ‘সিক্রেট প্লেসেই’ চলছে তারেকের ‘এসকর্ট ব্যবসা’!

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২২  

আপাতদৃষ্টিতে উপার্জনহীন হলেও লন্ডনে চোখ-ধাঁধানো আয়েশি জীবনযাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নতুন খবর হলো, একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি এবার এসকর্ট ব্যবসায় নেমেছেন। থাইল্যান্ডে তার এই ব্যবসার দেখভাল করছেন সমকামী দম্পতি তাসনিম খলিল ও জুলকার নাইন সামি। তবে তারা সশরীরে না গিয়ে থাকসিন মুরং নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে দাবি, একটি বিশ্বস্ত সূত্রের।

সূত্রটির তথ্যমতে, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে প্রায় ৮৪৫ কিলোমিটার দূরে ‘স্বপ্নের শহর’ ফুকেটে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ নিয়ে নিজের ‘এসকর্ট ব্যবসা’ প্রতিষ্ঠান খুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে তার এই যৌন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। খদ্দেরদের বিশেষ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করে দাবি করা হয় মোটা অংকের টাকা। না দিলেই সেগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে অধিকাংশরাই দেন নির্ধারিত অংকের টাকা। অনেকে আবার তাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের সর্বস্ব। তেমনই একজন ভারতের দীপঙ্কর সান্যাল।

তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম ফুকেটে। সেখানকার বীচে পরিচয় হয় রবিন থাপা নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার কাছে জানতে পারি, কাছেই এক জায়গায় স্বল্পমূল্যের একটি স্পা সেন্টার আছে। ভাবলাম, যেহেতু এতদূর এসেছি, যাই একবার। একটু ঘুরে আসি। সেখানে ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার রুপিতে স্পা করানোর চুক্তি হয়। কিন্তু ১৫ মিনিট না যেতেই ওই স্পা কর্মী আমার ঘনিষ্ঠ হতে থাকে, একটা পর্যায় আমিও নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। এ সময় রুমে লুকানো ক্যামেরা দ্বারা আমাদের ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে কাউন্টারে বিল মেটাতে গেলে ভিডিওটা দেখিয়ে আমাকে বলা হয়, টাকা না দিলেই পর্ন সাইটে এটি আপলোড হয়ে যাবে। বাধ্য হয়ে আমি তাদের ডিমান্ড পূরণ করতে দেশ থেকে টাকা আনাই। সবমিলিয়ে সেদিন আমাকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা গচ্চা দিতে হয়। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একজনের মারফতে জানতে পারি, ‘স্পা হ্যাভেন’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি এটি থাকসিন মুরং নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে শুনে আমি নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কি শুনলাম এটা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এসকর্ট ব্যবসায়ী। তাও আবার নারী-পুরুষ উভয়কে দিয়েই ব্যবসা করছেন, ভাবা যায়!

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে ওই স্পা সেন্টারের ম্যানেজার থাকসিন মুরংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, থাইল্যান্ড সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনেই আমরা ব্যবসা করছি। আমাদের এখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক কর্মী আছেন। যারা সবাই স্পা সেবা দিয়ে থাকেন পর্যটকদের। তবে কেউ নিজের দায়িত্বের বাইরে কারো সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করেন কিনা, তা আমাদের জানা নেই। আর যে অভিযোগটা করা হয়েছে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের, তা সত্য নয়। এ রকম কিছুই এখানে হয়নি বা হয় না।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তারেক ঘনিষ্ঠ বলেন, শুনেছি থাইল্যান্ডে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন তারেক। কিন্তু অনেকবার জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও তিনি স্বীকার করেননি সেটি কী ব্যবসা। তবে, লোকমুখে শুনেছি এসকর্ট ব্যবসা। আর সেটা নিয়ন্ত্রণ করেন তাসনিম খলিল ও জুলকার নাইন সামি। তবে তারা সশরীরে সেখানে যান না। নিজেদের মনোনীত এজেন্ট থাকসিন মুরংকে বানিয়েছেন স্পা সেন্টারের ম্যানেজার। সে-ই সমস্ত হিসেব-নিকেশ দেন তাদের। আর তারা দেন তারেককে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিচে নামতে নামতে তারেক এমন নিচে নেমে গেছেন যে, এবার এসকর্ট ব্যবসা শুরু করেছেন। তাও আবার থাইল্যান্ডের ফুকেটের এক সিক্রেট প্লেসে। তবে নামে সিক্রেট প্লেস হলেও ওপেনলি সেখানে হচ্ছে এসকর্ট ব্যবসা। ভর্তি হচ্ছে তার পকেট। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, নিজের স্বার্থে সব করতে পারে তারেক, সব। প্রয়োজনে এসকর্ট ব্যবসাও। আর সেটা পরিবার-পরিজন থেকে লুকিয়েই।