• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আ’লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২২  

কিছু মানুষ দেশের অর্জনকে, অর্জন হিসেবে নিতে পারে না, কেন তাদের এই দৈন্যতা? -জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে কারামুক্তি দিবসে দলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলছিলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরির সাফল্যের কথা।  এ সময়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানেই নাও ঠেলে চলতে হয়েছে।

২০০৮ সালের ১১ জুন, এক এগারোর শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফিরে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। কারামুক্তির এই দিবসটি স্মরণে গণভবনে দলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় বঙ্গবন্ধুকন্যাকে।

প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করেন, অগণতান্ত্রিক সেই দুঃসহ সময় আর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগের ভূমিকার।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি কখনও কারও কাছে মাথানত হওয়া বা নতজানু সেটা নয়, কারও কাছে জীবন ভিক্ষা চাওয়া- আমি সেটা করিনাই। কখনও কারও কাছে মাথানত করে চলবো এটা আমার বাবাও করেননি, আমি সেটা শিখিনি। কিন্তু যেকোন প্রতিকূল অবস্থায় নিজে রুখে দাঁড়িয়েছি। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ লাখ সিংনেচার সংগ্রহ করে আমার মুক্তি দাবিতে সেটা পাঠান হল , আমি মনে করি আওয়ামী লীগের মত সংগঠন ছিল বলেই এটা সম্ভব।”

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর বাস্তবতা তুলে ধরেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এতো আন্তর্জাতিক বাঁধা, সেই বাঁধা অতিক্রম করে আজকে আমরা নিজেদের পয়সায় পদ্মাসেতু হয়েছে। কোথায় লাভজনক হবে, কোথায় লাভজনক হবে না আমাদের থেকে ওই কিতাব পড়া দু’জন বা বাইরে থেকে একজন এসে তারা জানবে না। তারা আমাদের থেকে অনেক জ্ঞানী, অনেক শিক্ষিত, তারা হয়তো অর্থনীতিবিদ। আমরা তো অতো পড়াশুনা করি নাই, আমি তো বাংলার ছাত্রী। কিন্তু আমি আমার দেশটাকে চিনি, দেশের মানুষকে চিনি, দেশের মাটিকে চিনি। দেশের ভালমন্দ কি সেটা বুঝি।”

উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সুফল পেতে শুরু করেছে মানুষ, তবুও এ অর্জন মেনে নিতে যেন কোথায় বাধা! আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর।

শেখ হাসিনা বলেন, “ক্ষমতার উচ্ছিষ্টদের নিয়ে দল সৃষ্টি, সেটাই হচ্ছে বিএনপি। কাজেই ওদের তো কোনদিনই পায়ের তলায় মাটি নাই। অবাক লাগে, বাংলাদেশের এই উন্নয়নটা দেখলে এদের মনে এত ব্যথা লাগে কেন? আর সবকিছুতে একটা অর্জনকে অর্জন হিসাবে তারা নিতে পারে না কেন? তারা কেন এই মানসিক দন্যতায় ভোগে?ঃ

যে যাই বলুক, বাংলাদেশ এগিয়ে চলবে- বঙ্গবন্ধুকন্যার কন্ঠে এমনই দৃঢ়তা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, “ইলেকশন চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসুক। আমার পাওয়ার চাই, দেশকে উন্নত করতে চাই। এই সাফ কথা আমার।”