আওয়ামী লীগ এক অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির নাম: কাদের
শরীয়তপুর বার্তা
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২
বাংলা, বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগ এক অবিচ্ছিন্ন অনুভূতির নাম বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৩ জুন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ, সর্বপ্রাচীন ও সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম, এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সংগ্রামসহ আমাদের জাতীয় জীবনে যা কিছু মহৎ অর্জন, তার সবকিছুই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও ভ্রান্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, এরপর বাঙালি জাতির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নির্যাতন, চরম অবেহলা ও দুঃশাসনে নিষ্পেষিত বাংলার জনগণের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ।
‘এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয়, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্য বদলের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরেই। বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাফল্যের রচয়িতা আওয়ামী লীগ।’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালি তার ভাষার অধিকার পেয়েছে, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার সাঁকো পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নভূমিতে পদার্পণ করেছে, যোগ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই জনপদে বিগত ৭৩ বছর ধরে সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতির সমন্বয় এবং রাজনীতিতে সততা, দেশপ্রেম ও সম্প্রীতির আদর্শকে আওয়ামী লীগ সর্বদা ধারণ করেছে।
‘জনগণের ভেতর থেকে উত্থিত একটি প্রগতিশীল সংগ্রামী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ হচ্ছে সমাজের অগ্রসর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ, লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রবাহিনী। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় ঐক্যের রূপকার আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতি-রাষ্ট্র ও আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার সুমহান ঐতিহ্যের প্রতীক।’
‘গত সাত দশকের বেশি সময় ধরে গণমানুষের প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভাগ্যোন্নয়নে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ এই পথচলায় অধিকাংশ সময় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ সুদৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে এবং জনমানুষের আবেগ ও অনুভূতির বিশ্বস্ত ঠিকানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরেই নির্দেশিত হয়েছে দেশ ও দেশের মানুষের এগিয়ে চলার পথ। একইভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির গতিপথও নির্ণিত হয়েছে জনকল্যাণ ও গণআকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। আওয়ামী লীগ আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধশালী, কল্যাণকর ও শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে বদ্ধ পরিকর।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শুধু স্বাধীনতাই এনে দেয়নি, অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির শক্তিশালী ভিতও রচনা করেছে। বঙ্গবন্ধুর সরকার শূন্য কোষাগার হাতে নিয়ে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করে পৃথিবীর বুকে অনন্য নজির স্থাপন করেছিল।’
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মধ্য দিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সয়ম্ভর (স্বনির্ভর) বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে আওয়ামী লীগ যখন নিয়োজিত ছিল, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র দেশি ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির সহায়তায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র করা হয়। খুনিচক্র অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়, জেল-জুলুম ও মামলা-হামলা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষত-বিক্ষত করার অপচেষ্টা চালায়।’
এমনই এক ক্রান্তিকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ছয় বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন, ওবায়দুল কাদের যোগ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান হয়। গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটে, বাঙালি জাতি ফিরে পায় তাদের ভোট ও ভাতের অধিকার। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গত চার দশকের বলিষ্ঠ ও ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব সভায় অনন্য মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত হয়েছে।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, ঘাতকের নির্মম বুলেট সে স্বপ্নের গতিপথ রোধ করে দিয়েছিল। পিতার অপূর্ণ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ক্লান্তি-শ্রান্তিহীন ও নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই এক সময়ের দরিদ্রকবলিত বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার নব নব দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতুর ন্যায় বৃহৎ ও চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্য দিয়ে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র বিনির্মাণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে।’
কাদের আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে আমরা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হবো। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় প্রণীত অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২৫), প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (২১০০) এর আলোকে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে উন্নত-কল্যাণকর, সুখি-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ জনপদ।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- শরীয়তপুরে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
- শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- সাধারণ জ্বর-সর্দি নাকি করোনা বুঝবেন যে লক্ষণে
- এসির বাতাসে বাড়ছে ঠাণ্ডা-কাশি, ঘরোয়া উপায়ে সমাধান
- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে খান এই ৫ পানীয়
- ইরানের নজিরবিহীন হামলা, নজর এখন ইসরায়েলের দিকে
- ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী
- ছুটি শেষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু বেনাপোল বন্দরে
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- ছুটিতে সরকারি হাসপাতালের সেবায় সন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?
- বিয়েতে দাওয়াত না দেয়ায় ইউপি সদস্যর কান্ড
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম : শামীম