• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

১০ ডিসেম্বর নৈরাজ্য হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২  

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি যদি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। আমরা কিছু বলবো না। আমরা এটা নিয়ে চিন্তাও করি না। কিন্তু সেদিন যদি তারা জনসভার নামে কোনও ধরনের সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য বা ধ্বংসাত্মকমূলক পথ বেছে নেয় তবে অবশ্যই দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তার উপযুক্ত জবাব দেবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ তাদের কোনও অপকর্মকে মেনে নেবে না।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে শ্রীনগর স্টেডিয়ামে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুন্সীগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে ভালোবেসে তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সবসময় কাজ করে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকুক। এজন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলাদেশকে দারিদ্রমুক্ত করার চেষ্টা করেছেন সবসময়। কিন্তু খুনির দলেরা তা মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে সারা বাংলাদেশে ধ্বংসলীলা ও তাণ্ডব চালিয়েছিল। সারা দেশে তারা লুটপাট করেছিল। ধ্বংস করে দিয়েছিল পুরো দেশের অবকাঠামো। তারা বহু নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করেছে। মন্দির উপাসনালয়ে এমনকি মসজিদে হামলা করেছে। তারা এখনও ধ্বংস হয়নি, এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের অপকর্মের রাজনীতি চলছে। তারা দেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়। এজন্য তারা সব ষড়যন্ত্রই চালিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তারা এখনও হাওয়া ভবনের কুখ্যাত গডফাদারকে দেশে আনতে চায়। বিএনপি লুটপাট চোরাকারবারি ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের দল। যারা দেশের অর্থনীতি ভেঙে দিয়েছিল তারা এখন আবার নতুন করে হুঙ্কার দিচ্ছে। এদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই খুনিদের কাছে বাংলাদেশকে ছাড়া যাবে না। এদের মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির সব কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে হবে। এরা ২০১৩-১৪ সালে হরতালের নামে সারাদেশে পেট্রোল বোমা মেরে বহু মানুষকে হত্যা করেছে। এদের কাছে সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। এদের পেট্রোল বোমা থেকে ছোট শিশু এমনকি নারীরাও রেহাই পায়নি। আন্দোলনের নামে এরা নিরপরাধ শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এরা গবাদি পশুবাহী ট্রাকে পর্যন্ত বোমা মেরে পশুদের হত্যা করেছে। এদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছর বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতিকে যারা মেনে নিতে পারে না, যাদের দেশের অগ্রগতিকে মেনে নিতে তাদের কষ্ট হয়, এরাই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়। এরাই রাজাকারদের কাছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিল। কানাডিয়ান আদালত এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছে। ঘুষখোরের দল হিসেবে আমেরিকার এফবিআই এদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল-মাহমুদ বাবু। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ তাজুল ইসলাম পিন্টু এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি।

বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ. কে. এম. আফজালুর রহমান বাবু, আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাফিউল করিম নাফা।