• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে নতুনত্বের খোঁজে: সম্ভাবনায় নারী নেতৃত্ব

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২২  

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৬ ডিসেম্বর। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। নেতা হিসেবে নির্বাচিত হতে আওয়ামী লীগের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের চলছে শেষ মুহূর্তের দৌড়ঝাঁপ। তবে সবাই বলছেন, কমিটি চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

সংগঠনের নতুন নেতৃত্বের জন্য মেধা ও যোগ্যতার বিবেচনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এ জন্য আসতে পারে নতুন চমক। কেমন হবে ছাত্রলীগের কমিটি। নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে কারা? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে অনলাইন পূর্বপশ্চিম বিডি অনলাইন। এতে জানা যায়, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে নতুনত্বের খোঁজ করা হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে তাই আলোচিত হচ্ছে আগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াও।

সংগঠন সূত্র বলছে, ছাত্রলীগের ৭৪ বছরের ইতিহাসে সংগঠনের শীর্ষ দুই পদ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে কোনো নারী নেতৃত্ব দেখা যায়নি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন মারুফা আক্তার পপি। তিনি দায়িত্বের সঙ্গে সংগঠন পরিচালনা করলে তাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করার দাবিও ওঠে। কিন্তু নানা কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

সর্বশেষ কয়েকটি সম্মেলনে নারী নেতৃত্বের বিষয়টি বেশ আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আসেনি। তবে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে সংগঠনে নারী নেতৃত্বের প্রশ্ন। শীর্ষ পদে তাই দেখা মিলতে পারে নারী নেতৃত্বের। অনেকেই বলছেন, নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে লিঙ্গ কোনো বাধা নয়। বরং যোগ্যতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলীতে এগিয়ে থাকলে যে কেউই নেতৃত্বে উঠে আসতে পারেন। ফলে প্রার্থিতার দৌড়ে এরইমধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন নেতৃত্বের দাবিদার অনেক নারী নেত্রী।

আসন্ন সম্মেলনে নারীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তিলোত্তমা সিকদার; ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রনক জাহান রাইন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সভাপতি ফরিদা পারভীন।

এ বিষয়ে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নারীদের মধ্যে যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে অবশ্যই নেতৃত্বে আসতে পারে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য নারী নেত্রী রয়েছে।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার প্রদান মানদণ্ড হচ্ছে মেধা, যোগ্যতা আর নেতৃত্বের গুণাবলী। বঙ্গবন্ধুকন্যা যোগ্য ছাত্রনেতাকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ পদের জন্য বিবেচনা করেন।

ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মেয়াদ শেষ করার আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তারা পদত্যাগ করেন। এরপর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান যথাক্রমে আল নাহিয়ান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। তিন মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদের ভারমুক্ত করে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদকাল দুই বছর। আর মেয়াদকালের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন করার নিয়ম থাকলেও তা করতে পারেনি জয়-লেখক। পরে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের আয়োজনের নির্দেশনা দেয়।