• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

যে ৭০টি কবিরা গুনাহর কোনো ক্ষমা নেই

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  

শরীয়াতের পরিভাষায় আল্লাহ ও তার রাসূল (সা.) যে সকল কাজ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং সে সকল কাজের জন্য শাস্তির বিধান অথবা আল্লাহর অসন্তুষ্টির কথা ঘোষণা রয়েছে, তাকে কবীরা গুনাহ বলা হয়। গুনাহ দু’ভাগে বিভক্ত- প্রথমত কবীরা; দ্বিতীয়ত সাগীরা। কেউ কেউ বলেছেন, মূলত সব গুনাহই- গুনাহ, এর কোনো বিভাগ নেই। তবে ওলামায়ে কেরামের মতে, গুনাহ দু’প্রকারঃ সাগীরা গুনাহ ও কবীরা গুনাহ।

পাপ হলো শরিয়তের আদেশ-নিষেধ লঙ্ঘন করা, নির্দেশ অবহেলা করা ও নিষেধ অমান্য করা। পাপ বা অপরাধ ছোট হোক বা বড় হোক, তা সব সময় বর্জনীয়। কোনো ছোট পাপকে হালকা মনে করাও একটি কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ।

৭০টি কবিরা গুনাহের পরিচয় তুলে ধরা হলো। যার কোনো ক্ষমা নেই- 

১. শিরক করা।
২. মানুষ হত্যা করা।
৩. জাদুটোনা করা।
৪. নামাজে অবহেলা করা।
৫. যাকাত না দেয়া।
৬. বিনা ওজরে রমজানের রোজা ভঙ্গ করা।
৭. সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্ব না করা।
৮. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া।
৯. রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্ন করা।
১০. যিনা-ব্যভিচার করা।
১১. লাওয়াতাত বা সমকামিতা করা।
১২. সুদের আদান-প্রদান।
১৩. ইয়াতিমের মাল আত্মসাৎ করা এবং তাদের ওপর জুলুম করা।
১৪. আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি মিথ্যারোপ করা।
১৫. ধর্মযুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন।
১৬. শাসক কর্তৃক জনগণের ওপর জুলুম।
১৭. গর্ব-অহংকার।
১৮. মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া।
১৯. মদ্যপান।
২০. জুয়া খেলা।
২১. সতী-সাধ্বী নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয়া।
২২. গনীমতের মাল আত্মসাৎ করা।
২৩. চুরি করা।
২৪. ডাকাতি করা।
২৫. মিথ্যা শপথ করা ও আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে শপথ করা।
২৬. জুলুম বা অত্যাচার করা।
২৭. জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করা।
২৮. হারাম খাওয়া ও যেকোনো হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন ও ভোগদখল করা।
২৯. আত্মহত্যা করা।
৩০. কথায় কথায় মিথ্যা বলা।
৩১. বিচারকার্যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া।
৩২. ঘুষ খাওয়া।
৩৩. পোশাক-পরিচ্ছদে নারী-পুরুষের সাদৃশ্যপূর্ণ বেশভূষা।
৩৪. নিজ পরিবারের মধ্যে অশ্লীলতা ও পাপাচারের প্রশ্রয়দান।
৩৫. তালাকপ্রাপ্ত নারীকে চুক্তিভিত্তিক হিলা বিয়ে করা।
৩৬. প্রস্রাব থেকে পবিত্র না থাকা।
৩৭. রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ কাজ করা।
৩৮. দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম বা জ্ঞান অর্জন করা এবং সত্য গোপন করা।
৩৯. আমানতের খেয়ানত বা বিশ্বাস ঘাতকতা।
৪০. দান-খয়রাতের খোটা দেয়া।
৪১. তকদিরকে অবিশ্বাস করা।
৪২. কান পেতে অন্য লোকের গোপন কথা শোনা।
৪৩. চোগলখুরি করা।
৪৪. বিনা অপরাধে কোন মুসলমানকে অভিশাপ ও গালি দেয়া।
৪৫. ওয়াদা খেলাফ করা।
৪৬. গণকের কথায় বিশ্বাস করা।
৪৭. স্বামীর অবাধ্য হওয়া।
৪৮. প্রাণীর প্রতিকৃতি আঁকা।
৪৯. বিপদে উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা।
৫০. বিদ্রোহ, দম্ভ ও অহংকার প্রকাশ।
৫১. দাস-দাসী দুর্বল শ্রেণির মানুষ এবং জীবজন্তুর সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা।
৫২. প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া।
৫৩. মুসলমানদের কষ্ট ও গালি দেয়া।
৫৪. আল্লাহর বান্দাদের কষ্ট দেয়া।
৫৫. অহংকার ও গৌরব প্রকাশে টাখনুর নিচে পোশাক পরা।
৫৬. পুরুষের স্বর্ণ ও রেশশি কাপড় পরিধান করা।
৫৭. মনিবের কাছ থেকে গোলামের পলায়ন বা বৈধ কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করা।
৫৮. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু-পাখি যবেহ করা।
৫৯. যে পিতা নয়, তাকে জেনে-শুনে পিতা বলে পরিচয় দেয়া।
৬০. ঝগড়া ও বাদানুবাদ করা।
৬১. প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অন্যকে না দেয়া।
৬২. মাপে এবং ওজনে কম দেয়া।
৬৩. আল্লাহর আজাব ও গজব সম্পর্কে উদাসীন হওয়া।
৬৪. আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া।
৬৫. বিনা ওজরে জামায়াত ত্যাগ করা এবং একাকি নামাজ পড়া।
৬৬. ওজর ছাড়া জুমা এবং জামায়াত ত্যাগ করার ওপর অটল থাকা।
৬৭. উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরীয়ত বিরোধী ওসিয়ত করা।
৬৮. ধোঁকাবাজি, ছলচাতুরি, প্রতারণা করে মানুষ ঠকানো।
৬৯. মুসলমানদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে গোয়েন্দাগিরি করা এবং তাদের গোপনীয় বিষয় অন্যদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া।
৭০. রাসূলের সাহাবাদের কাউকে গালি দেয়া।

হে আল্লাহ আমাদেরকে এই সকল কবিরা গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।