• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে যে কাজগুলো তাড়াতাড়ি করা জরুরি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২২  

মানুষ মরণশীল। দুনিয়াতে জন্ম নেওয়া সব জীবেরই মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআনের ঘোষণাও এমনই- ‘সব প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ মানুষের মৃত্যু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ব্যক্তিদের কিছু করণীয় আছে। যা দ্রুততার সঙ্গে আদায় করা জরুরি। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও একজন সাহাবির মৃত্যুর পর নিজে সে করণীয়গুলো পালন করেছেন। যা উম্মতের জন্য শিক্ষা। মৃত্যুর পর কী কী কাজ করেছিলেন প্রিয় নবি?

মানুষের মৃত্যুর পর উপস্থিত ব্যক্তিদের করণীয় সম্পর্কে একাধিক হাদিসে কিছু করণীয় পালনের কথা বলা হয়েছে। তাহলো-

১. হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু সালামার ঘরে প্রবেশ করলেন। সে সময় তার চোখ দুইটি খোলা ছিল। তিনি আবু সালামার চোখ দুইটি (হাত দিয়ে) বন্ধ করে দিলেন।

এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, (মানুষের) রূহ যখন কবজ করা হয় তখন চোখ তা অনুসরণ করে। এরপর তার পরিবারের লোকেরা চিৎকার করে।

এরপর তিনি বললেন- ‘তোমরা তোমাদের মৃতব্যক্তিদের জন্য শুধু উত্তম দোয়া কর। কেননা তোমরা যা বল ফেরেশতারা তা সত্যায়িত করেন।’

এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘হে আল্লাহ! আবু সালামাকে ক্ষমা করে দিন। হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন এবং তাঁকে তার অতীতদের অন্তর্ভূক্ত করে দিন। আর তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার কবরকে আলোকিত করে দিন।’

এ হাদিসের আলোকে মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে দুইটি কাজ করার তাগিদ এসেছে। তাহলো-

> মৃত ব্যক্তির চোখ খোলা থাকতে তা বন্ধ করে দেওয়া।

> মৃত ব্যক্তির জন্য হাদিসের অনুসরণে দোয়া করা।

২. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মৃত্যুবরণ করলেন, তখন তাঁকে হিবারা (চাদর) দ্বারা ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।’

> সুতরাং এ হাদিসের আলোকে মানুষকে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে চাদর দ্বারা ঢেকে দেওয়া।

৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের মৃত্যুর পর দ্রুত দাফনের তাগিদ দিয়েছেন। তাই-

> মানুষের মৃত্যুর পর দ্রুত দাফন সম্পন্ন করা। এমনকি ব্যক্তি যে শহরে মৃত্যুবরণ করবে সেখানেই তাকে দাফন করা উত্তম। কেননা অন্য জায়গায় নিতে গেলে দ্রুত দাফনের ব্যাঘাত ঘটে থাকে।

অবশেষে...

যদি মৃতব্যক্তি ঋণগ্রস্ত হয় তবে দাফনের পর মৃতব্যক্তির সম্পদ থেকে দ্রুততার সঙ্গে তার ঋণ পরিশোধ করা। আর এগুলো দ্রুততার সঙ্গে আদায় করা উপস্থিত পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের কাজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে মৃতব্যক্তির জন্য উল্লেখিত কাজগুলো হাদিসের অনুসরণে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।