• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বাবা-মায়ের মৃত্যুর আগে সম্পদ বণ্টন হারাম

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২  

বিশ্বনবী হজরত মুহম্মদ (সা.) আজ থেকে ১৪শত বছর আগেই বলে গিয়েছেন, “উত্তরাধিকার আইন নিজে জানো ও অপরকে শেখাও, সকল জ্ঞানের অর্ধেক হল এই জ্ঞান”। মুসলিম হাওয়া সত্ত্বেও আমাদের অনেকেরই উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই।

কিন্তু এটা প্রত্যেক মুসলিমের জানা প্রয়োজন। মুসলিম আইনে কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার ওপর ভিত্তি করে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়ে থাকে। এভাবে বণ্টন করাকে ফারায়েজ বলা হয়।

অনেকের প্রশ্ন, বাবা-মায়ের মৃত্যুর আগে সম্পদ বণ্টন করা কি জায়েজ? প্রথম কথা হচ্ছে, সম্পদের ভাগ বলতে যদি আপনি উত্তরাধিকার বণ্টন বলেন, তাহলে এটা শরীয়ার নিয়ম অনুযায়ী হবে। তবে এটা অবশ্যই মৃত্যুর পর করতে হবে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর আগে উত্তরাধিকারী সম্পদের বণ্টন হয় না। এটা মৃত্যুর পর ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়। মৃত্যুর আগে করা হারাম।

তবে এমনেই কেউ যদি মৃত্যুর আগেই বাবা-মা তার সন্তানকে কিছু দিতে চায় তাহলে সেটা সে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে যে সমান-সমান হতে হবে এমন কোনো কথা নয়। এর জন্য ইনসাফের ব্যাপারটি এসেছে। যতটুকু পরিমাণ ঠিক ততটুকুই দেওয়া যায়। মৃত্যুর আগে আপনি যদি উত্তরাধিকারী সম্পদ বণ্টন করেন তাহলে সেটি হারাম হবে।

তবে কোন মুসলমান মারা গেলে তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। কী সেই সব আনুষ্ঠানিকতা-

১. মৃত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি থাকলে সেখান থেকে তার দাফন কাফনের যাবতীয় খরচ মেটাতে হবে।

২. তিনি যদি জীবিত থাকা অবস্থায় কোন ধার-দেনা করে থাকেন তবে তাও রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে পরিশোধ করে দিতে হবে।

৩. তার স্ত্রী বা স্ত্রীদের দেনমোহর পরিশোধিত না হয়ে থাকলে বা আংশিক অপরিশোধিত থাকলে তা পরিশোধ করে দিতে হবে। মোট কথা স্ত্রীর সম্পূর্ণ দেনমোহর স্বামী মৃত অথবা জীবিত যাই থাকুক না কেন তা স্বামীর সম্পত্তি থেকে আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ পরিশোধ করে দিতে হবে।

৪. মৃত ব্যক্তি কোন দান কিংবা উইল করে গেলে তা প্রাপককে দিয়ে দিতে হবে।

উপরের সব কাজ সম্পন্ন করার পরে মৃত ব্যক্তির অবশিষ্ট সম্পত্তি ফারায়েজ আইন অনুযায়ী তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে।