• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

আল্লাহ মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের এমন কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অন্য সব মাখলুকে কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়।  
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন,

وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ مِن سُلَالَةٍ مِّن طِينٍ

আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি।

ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَّكِينٍ

অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি।

ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ ۚ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ

এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়। সূরা মু'মিনুন ( আয়াত ১২-১৪)

তিনি আরো বলেন, ‘এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত, অতঃপর আমরা একে গঠন করেছি পরিমিতভাবে, আমরা কত সুনিপুণ স্রষ্টা।’ (সুরা মুরসালাত, আয়াত :২২-২৩)।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা সোয়াদ, আয়াত :৭৫)।

‘অতঃপর তিনি তাকে সুষম করেন এবং তাতে রুহ সঞ্চার করেন।’ (সুরা সাজদাহ, আয়াত :৯)।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তালায়া ইরশাদ করেন, ‘অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’ (সুরা ত্বিন, আয়াত :৪)।

‘হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদের বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যেন তোমরা পরস্পর পরিচিতি লাভ করতে পারো।’ (সুরা হুজুরাত, আয়াত :১৩)।

‘আর যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, “তোমরা আদমকে সিজদা করো।’ তখন তারা সিজদা করল, ইবলিস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল। আর সে হলো কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত’। (সুরা বাকারা, আয়াত :৩৪)।

‘যখন তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বলেছিলেন, ‘আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে যাচ্ছি।’ ফেরেশতারা জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি কি এর মধ্যে (পৃথিবীতে) এমন একজনকে নিযুক্ত করবেন, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে এবং রক্তপাত ঘটাবে, যেখানে কিনা আমরা আপনার পবিত্রতাকে প্রশংসাভরে বর্ণনা করছি এবং আপনার নিষ্কলুষতা ঘোষণা করছি? তিনি বলেছিলেন, “আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না”।’ (সুরা বাকারাহ, আয়াত :৩০)।

‘আর তিনি আদমকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন, তারপর সে সব ফেরেশতার সম্মুখে পেশ করলেন এবং বললেন, ‘এই সমুদয়ের নাম আমাকে বলে দাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত :৩১)।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই প্রতিটি জাতির কাছে একজন করে রসুল পাঠিয়েছি, যাতে করে তাদের বলে, ‘তোমরা একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করো এবং তাগুত তথা শিরক থেকে দূরে থাকো।’ (সুরা আন নহল, আয়াত:৩৬)।

‘তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করে দিয়েছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতসমূহ পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন? এমন লোকও আছে; যারা জ্ঞান, পথনির্দেশ ও উজ্জ্বল কিতাব ছাড়াই আল্লাহ সম্পর্কে বাগিবতণ্ডা করে। (সুরা লুকমান, আয়াত :২০)।

আল্লাহ বলেন, ‘যারা ইমান আনে ও সত্কর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা। (সুরা আল বাইয়েনা, আয়াত :৭)।