• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অজু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াতের বিধান

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩  

আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য পবিত্র কোরআন অবর্তীণ করেছেন। পুরো মানব জাতির সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ এগ্রন্থে রয়েছে। হাদিসে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতকারীদের আল্লাহর পরিজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হজরত আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা। -(ইবনে মাজাহ: ২১৫)।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর বর্ণনায় এসেছে, যে আল্লাহর কিতাবের একটি হরফ পড়বে, সে একটি নেকি পাবে। আর প্রতিটি নেকি দশগুণের সমান। আমি বলি না: ‘আলিফ লাম মিম’ একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মিম একটি হরফ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০)।

এদিকে, কোরআন তেলাওয়াতের যেমন সওয়াব রয়েছে। তেমনিভাবে কুরআনের অর্থ ও মর্মাথ অনুধাবন করাও কুরআন-হাদিসেরই নির্দেশনা। এজন্য পবিত্রা অর্জনও শর্ত। কোরআন তেলাওয়াতের জন্য অবশ্যই শরির পবিত্র থাকতে হয়। কোরআন দেখে দেখে এবং স্পর্শ করে পড়তে চাইলে অজু থাকা আবশ্যক। তবে কারো যদি শরীর পবিত্র থাকে, কিন্তু অজু না থাকে, তাহলে এমন ব্যক্তি কোরআন শরিফ স্পর্শ করে পড়তে পারবে না। তবে শুধু মুখস্ত কোরআন তেলাওয়াত করতে চাইলে তা করতে পারবে।

কারো অজু না থাকলেও শরির পবিত্র থাকলে সে চাইলে শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে, গাড়িতে বসে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে যখন-যেভাবে খুশি মুখস্ত কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবে। এছাড়াও কোরআনের আয়াত ও হাদিস সম্বলিত বই-পুস্তক, তাফসির গ্রন্থ, হাদিস গ্রন্থ ইত্যাদি অজু ছাড়া ধরতে বা পড়তে বাধা নেই।