• শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩০

  • || ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

অশান্তির কারখানা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা আর অবৈধ/হারাম উপার্জন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩  

অতিরিক্ত চাহিদা মানুষকে অবৈধ/হারাম উপার্জনে উদ্বুদ্ধ করে। এ দু’টিই বিষ।
সুখ ও চাহিদা একসাথে বিরাজ করে না, এরা একে অপরের শত্রু। চাহিদা বাড়লে সুখ কমবে, চাহিদা কমলে সুখ বাড়বে। দুটো মিলে ১০০ নম্বর: চাহিদা ৫০ থাকলে সুখ থাকবে ৫০। চাহিদা ৮০ হলে সুখ হবে ২০। চাহিদা ১০ হলে সুখ ৯০। বিষয়টা Inversely proportional.
ক্ষুদ্র এ জীবনে নিজের জন্য বেশি চাহিদা ভালো না, চাহিদা থাকবে মানুষের জন্য,মানুষের কল্যাণে। অসংখ্য মানুষ বহুমাত্রিক কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেন- তাদের জন্য কাজ করার মধ্যেই প্রকৃত সুখ নিহিত।

পিতা-মাতা,নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশী, এতিম, মিসকিনদের প্রতি সবার বিশাল দায়িত্ব রয়েছে, এই দায়িত্ব পালন না করলে শাস্তি হবে নিশ্চিত। ব্যক্তিগত চাহিদার কলেবর বাড়িয়ে মানুষের কল্যাণ বিমুখ হলে ভন্ডুল হয়ে যাবে অন্যসব তথাকথিত ভালো কাজ, পরিণতি হবে জাহান্নাম।

পেটে আমার অনেক বিদ্যা কিন্তু দায়িত্ববোধের বেলায় নেই-কোন লাভ হবে না। হারাম উপার্জন করে সুখ খুঁজে কোনো লাভ নেই, তা হওয়ার নয়। হারাম উপার্জন মানেই অশান্তির কারখানা। মানুষের প্রতি অন্যায়-অবিচার করলে, শোষণ-জুলুম-নির্যাতন করলে সুখ কখনোই আসবে না।

শান্তি/সুখ পেতে চাইলে:

(১) চাহিদা কমাতে হবে।
(২) সাদাসিধা জীবন যাপন করতে হবে; বিলাসী জীবন অবশ্য অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
(৩) উপার্জন অবশ্যই হতে হবে সৎ পথে।
(৪) সৎ উপার্জন নিয়েই মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে সাধ্যমত।

সৎ পথে উপার্জন আর সাধ্যমত মানুষের কল্যাণে কাজ করা ছাড়া পৃথিবীতে শান্তি অসম্ভব, পরকালে মুক্তি অসম্ভব।