• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

মহাকাশে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধরা পড়লো ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২২  

মহাকাশে নতুন এক পরিক্রমায় প্রবেশ করেছে নাসার সুপার স্পেইস (অত্যাধুনিক মহাকাশ) টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। এরই মধ্যে মহাকাশের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করেছে যন্ত্রটি। এটিকে বলা হচ্ছে, ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবী থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার আলোকবর্ষ দূরত্বে সার্পেন্স নভোমন্ডলে কথিত ‘সৃষ্টির স্তম্ভগুলো’ শীতল, হাইড্রোজেন গ্যাস ও ধুলোর মিশ্রণে ঘন মেঘ। প্রত্যেক বড় টেলিস্কোপ সেই চিত্র ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্য হাবল অবসারভ্যাটরি টেলিস্কোপটি ছিল জনপ্রিয়। তবে জেমস ওয়েব আমাদের অন্য এক অবিশ্বাস্যের ইঙ্গিত করলো।

স্তম্ভগুলো মেসিয়ার ১৬ (এম১৬) বা দ্য ঈগল নিহারিকার মূলকেন্দ্রে শায়িত অবস্থায় রয়েছে। এটি একটি সক্রিয় তারকা-গঠন অঞ্চল।

নতুন জন্ম নেয়া সূর্যের কার্যক্রম পরীক্ষা করতে স্তম্ভের ধূলিকণার আলো-বিক্ষিপ্ত প্রভাবগুলোর অতীত দেখতে সক্ষম ওয়েবের অবলোহিত শনাক্তকরণগুলো।

ইউরোপিয়ান মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অধ্যাপক মার্ক মক্কাওঘরেন বলেন, ১৯৯০ সালে মাঝামাঝি থেকে আমি দ্য ঈগল নেবুলা (নিহারিকা) নিয়ে কাজ করছি। আমি আলোকবর্ষের ভেতর লম্ব স্তম্ভ দেখার চেষ্টা করেছি। এখন হাবল সেটি দেখালো। এর ভেতর আমি তাদের ভিতরে তরুণ তারকাদের খুঁজছি। আমি জানতাম জেমস ওয়েব সেটির ছবি তুলতে পারবে এবং এগুলো হবে অসাধারণ। তা আজ দেখতে পেলাম।

তারকাদের খুব কাছে থেকে অতিবেগুনি রাশ্মির তীব্রতায় দ্য এম ১৬ আলোকিত ও ভাস্কর্য হয়েছে। সেই বিকিরণ টাওয়ারগুলোকেও ভেঙে ফেলছে।

প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি জাদুকরীভাবে নিজেকে আজ সেই দৃশ্যে নিয়ে যেতে পারেন, তবে স্তম্ভগুলো সম্ভবত সেখানে আর থাকবে না। স্তম্ভগুলো অতীত হওয়ায় আমরা তাদের দেখতে পাচ্ছি।

জেমস ওয়েব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান এবং কানাডার মহাকাশ সংস্থার যৌথভাবে করা একটি প্রকল্প। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা করেছিল এবং এটিকে দ্য হাবল মহাকাশ টেলিস্কোপের উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।