• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়লো ভারত

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২২  

টেস্টের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজেও বিশ্রীভাবে হারতে হলো ভারতকে। নিয়মরক্ষার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ কার্যত সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিলো লোকেশ রাহুলদের কাছে। জয় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করতে পারলে হৃত সম্মান কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করা যেতো। শেষমেশ শেষ ম্যাচেও হারায় হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জা নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে ভারতীয় তারকাদের।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরিতে ২৮৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে অলআউট হয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ২৮৩ রানে থামে ভারত।

শেষ তিন ওভারে ভারতের দরকার ছিলো মাত্র ১০ রান। লোয়ার অর্ডারে দারুণ ব্যাটিংয়ের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন দীপক চাহার। কিন্তু ৩৩ বলে ৫৪ রান করা এই ব্যাটারকে ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন লুঙ্গি এনগিদি, এরপরই দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এনগিদির ওই ওভারে পরের পাঁচ বলে লোয়ার অর্ডারের জাসপ্রিত বুমরাহ আর যুজবেন্দ্র চাহাল নিতে পারেন মাত্র ২ রান। তার পরের ওভারে আন্দেলো ফেহলুখায়োও ২ রান খরচ করে তুলে নেন বুমরাহকে।

শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিলো ৬ রান। কিন্তু উইকেট তো হাতে মাত্র একটি। ওই উইকেটটি দারুণ বুদ্ধিমত্তায় নিজের করে নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। চাহাল পুল খেলতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন। ভাঙে ভারতের স্বপ্ন।

অথচ শিখর ধাওয়ান (৭৩ বলে ৬১) আর বিরাট কোহলির (৮৪ বলে ৬৫) জোড়া হাফসেঞ্চুরির পর সূর্যকুমার যাদবের ৩২ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে একটা সময় ৬ উইকেটে ২২৩ রান ছিলো ভারতের। সেখান থেকে অনেক নাটকের পর হোয়াইটওয়াশ লজ্জা সফরকারীদের।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার মূল কারিগর ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ভারতের বিপক্ষে ষষ্ঠ ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরিতে ১২ চার ও ২ ছয়ের মারে ১৩০ বলে ১২৪ রান করেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রসি ফন ডার ডুসেনের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। এর বাইরে ডেভিড মিলার ৩৯, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২০ ও এইডেন মারক্রাম করেন ১৫ রান। শেষ পর্যন্ত এক বল আগেই ২৮৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন প্রাসিদ কৃষ্ণা। অন্য দুই পেসার যসপ্রিত বুমরাহ ও দ্বীপক চাহারের শিকার ২টি করে উইকেট।