• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বিনিময়ে টাকা পাবেন সাজেক যাওয়া পর্যটকরা

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৭ জানুয়ারি ২০২০  

মানুষ, বন্যপ্রাণী, প্রকৃতির পাশাপাশি গ্রিনহাউস প্রক্রিয়াতেও ভূমিকা রেখে চলেছে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ ‘প্লাস্টিক’। বলা যায়, পৃথিবীর সুস্থ প্রাকৃতিক পরিবেশের পথে প্লাস্টিক অন্যতম প্রধান হুমকি। প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহারের ফলে লোকালয়ের মতো দূষিত হচ্ছে পর্যটন এলাকাগুলোও। অথচ, এই পর্যটন এলাকাগুলো তৈরি হয়েছে প্রকৃতির কোন নান্দনিক সৌন্দর্যকে উপলক্ষ করে। প্রকৃতির এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যটকদের ফেলে যাওয়া বোতল, পলিথিনসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক উপাদানে দূষিত হচ্ছে এর প্রাকৃতিক পরিবেশ।

পর্যটন এলাকাগুলোতে দূষণ মুক্ত পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ’ ট্যুরিস্ট গ্রুপ। বেড়াতে এসে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক জমা দিলে বিনিময়ে নগদ টাকা পাবেন পর্যটকরা।

এই মাসের (জানুয়ারি) মাঝামাঝিতে রাঙামাটির সাজেকে পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণ আয়োজন করেছে ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশ। বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা প্লাস্টিকের মোড়কজাত প্রতিটি প্যাকেটের বিনিময়ে পাবেন ১ টাকা, দেড় লিটার পর্যন্ত পানির বোতল ২ টাকা, দুই লিটারের পানির বোতল ৩ টাকা এবং ৫ লিটারের পানির বোতল জমা দিলে পাবেন ৫ টাকা।

ওয়াইল্ড ট্যুরিজম বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেফায়েত শাকিল বলেন, ‘পর্যটকদের অসাবধানতার কারণে ফেলে যাওয়া বিভিন্ন উচ্ছিষ্টে পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। প্লাস্টিকের প্রভাবে বিলীন হচ্ছে সেন্টমার্টিনের প্রবাল। নষ্ট হচ্ছে সমুদ্র ও পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য। ফলে পর্যটন ও পরিবেশ একে অপরের বিরোধী হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

পর্যটকদের মাঝে প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতাবোধ জাগ্রত করে সারাদেশে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। পর্যটন প্রতিনিধি এবং ভ্রমণ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলে ভয়ংকর এই প্লাস্টিকের প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে পর্যটন এলাকাগুলোর প্রকৃতিক পরিবেশ।