• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

অসুস্থ রিজভীর পাশে নেই বিএনপি

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২০  

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে দ্বিতীয় বারের মতো চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  তবে তার অসুস্থতা নিয়ে দলের মধ্যে নেই কোনো উদ্বেগ।

জানা গেছে, রিজভী অসুস্থ হওয়ার পর তাকে আর্থিক সহায়তা তো দূরের কথা, বিএনপির সিনিয়র কোনো নেতা তার খোঁজখবরই নেয়নি। রিজভীর চিকিৎসা খরচ কীভাবে জোগাড় হবে বা তার উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বিএনপির নেই কোনো মাথাব্যথা।

রিজভীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, দল পরিচালনায় দ্বিমুখী চাপের পাশাপাশি পদ, মনোনয়ন ও বাণিজ্য নিয়ে এ জ্যেষ্ঠ নেতার ওপর দলের নীতিনির্ধারক মহলের ছিল দারুণ চাপ। একদিকে তারেক রহমানের নানা বিতর্কিত নির্দেশ, অন্যদিকে দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিভিন্ন উদ্ভট সিদ্ধান্ত। দুজনের এ দ্বিমুখী সিদ্ধান্ত রিজভীর জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো হয়ে দাঁড়ায়। তাদের সিদ্ধান্তের মাঝখানে পড়ে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিজভী।

তাদের মতে, তারেক রহমানের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী রিজভীকে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতে হতো। আর এতে অনেক সিনিয়র নেতা সরাসরি প্রশংসা করলেও পেছনে পেছনে তা নিয়ে চলে তুমুল সমালোচনা। এ নিয়েও রিজভীর ছিল উদ্বেগ।

সব মিলিয়ে বিএনপির সর্বোপরি দীর্ঘ ব্যর্থতা, অন্য নেতাদের গা ছাড়া ভাব, তারেক রহমানের দুর্ব্যবহার ও পদচ্যুতির হুমকিতে দারুণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন দলের এ জ্যেষ্ঠ নেতা। 

জানতে চাইলে পরিচয় গোপন করার শর্তে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা বলেন, এটাই বিএনপির রাজনীতি। যখন একজন নেতা অসুস্থ হন, তখন তার খবর কেউই রাখেন না। 

তিনি বলেন, এর আগে স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু দলের কোনো সিনিয়র নেতা খোঁজ নেননি। বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ার দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। দলের নেতারা তার খবর রাখেননি। মান্নান ভূঁইয়ার মতো নেতার মৃত্যুর পরও বিএনপি নেতাদের কেউই কিছু করেনি।