• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীয়তপুর বার্তা

বাজেট ২০২১-২২

আরো ব্যবসাবান্ধব হচ্ছে ভ্যাট আইন

শরীয়তপুর বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১  

ভ্যাট আইন ব্যবসাবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে দেশীয় শিল্পের বিকাশে ভ্যাটে (মূল্য সংযোজন কর) বড় ছাড় আসছে। ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা ও সরল সুদ দুটিতেই ছাড় দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আদায় বাড়াতে বাজেটে মনিটরিং ব্যবস্থাও করা হচ্ছে জোরদার।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ৬ লাখ কোটি টাকার বেশি প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বিদ্যমান ভ্যাট আইনটি আরো ব্যবসাবান্ধব ও যুগোপযোগী করতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের আগাম কর (এটি) হার কমানো হচ্ছে। ভ্যাট ফাঁকির জরিমানা ও সরল সুদ দুটিতেই ছাড় দেয়া হচ্ছে। আগাম কর হার ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এয়ারকন্ডিশন ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। কৃষি আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কৃষি কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

এছাড়া এক হাজার ৬০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ি উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে যন্ত্রাংশ আমদানিতে আগাম কর দিতে হয়। আগামী বাজেটে সেটিও বাতিল করা হচ্ছে।

শুধু ভারি ও আইটি শিল্প নয়, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকেও বাজেটে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে শর্তসাপেক্ষে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে প্রস্তুতকৃত যন্ত্রাংশ সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে রাজস্ব সুরক্ষায় জাল ও নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেটের বিস্তার রোধে জেল-জরিমানার বিধান রেখে আইনে নতুন ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। এতে আগামীতে জাল বা ভুয়া বা পুনঃব্যবহৃত স্ট্যাম্প-ব্যান্ডরোল ব্যবহার করলে অথবা জাল ব্যান্ডরোল উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহণ বাজারজাত করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা প্রদেয় করের সমপরিমাণ অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পাশাপাশি নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত কোনো পণ্য উৎপাদন, গুদামজাতকরণ, পরিবহণ, বিপণন বা বিক্রয় করলেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

দেশে মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ১০ ভাগ আসে তামাক খাত থেকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকার প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হয়। তবে অবৈধ ব্যবসা ও শুল্ক ফাঁকি দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কারসাজিতে গত দুই বছরে দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।